E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশাশুনিতে বেড়িবাঁধে ভাঙন, তলিয়ে গেছে ৪০০ চিংড়ি ঘের    

২০১৬ মে ০৯ ১৬:৪৩:৪৫
আশাশুনিতে বেড়িবাঁধে ভাঙন, তলিয়ে গেছে ৪০০ চিংড়ি ঘের    

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর ৪নং পোল্ডারের কোলা নামক স্থানে ২০০ ফুট বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জোয়ারের প্রবল তোড়ে দু’টি ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের এক হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে ছোট বড় ৪০০ টি চিংড়ি ঘের। রবিবার দুপুরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ করা হলেও জোয়ারের তোড়ে আবারো ভেঙে গেছে ওই বাঁধ।

প্লাবিত গ্রামগুলো হলো, প্রতাপনগর ইউনিয়নের কোলা, হিজলদী, শ্রীউলা ইউনিয়নের মাড়িয়ালা, হাজরাখালি ও কলিমাখালি।

মাড়িয়ালা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ওয়াজেদ গাজী, কলিমাখারির সঞ্জয় দাশ, কোলা গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও হিজলদী গ্রামের ছাইফুল্লাহ জানান, শনিবার রাত ১২টার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার ভোর চারটার দিকে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের প্রবল তোড়ে হঠাৎ করেই ৪নং পোল্ডারের কোলা নামক স্থানে প্রায় ২০০ ফুট বেড়িবাঁধ ধসে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে প্রায় এক হাজর পরিবারের ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ভেসে গেছে চার শতাধিক ছোট বড় চিংড়ি ঘের। স্থানীয় দু’ ইউপিট চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ না হতেই প্রবল জোয়ারের তোড়ে আবারো ভেঙে যায় ওই বাঁধ। সন্ধ্যার মধ্যে বাঁধ আবারো সংস্কার করাি সম্ভব না কলে পুইজালা, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদরসহ কমপক্ষে পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল জানান, কোলা প্রতাপনগরে হলেও ভাঙনে তার ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে তার এলাকায় বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলাতির কারণেই প্রতাপনগর ইউনিয়নবাসীর এই দুর্দশা। বারবার বলা হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কারে কোজ উদ্যোগ নেয়নি। প্রথমবার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর দুপুর একটা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশান অফিসার আবুল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বাঁধ সংসাকারের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যার মধ্যে বাঁধ বেধে ফেলা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদি।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর সেকশান অফিসার আবুল হোসেন জানান, তাৎক্ষণিক বাঁধ সংস্কারের জন্য এক হাজার পলিথিনের বস্তা ও এক’শ বাঁশ দেওয়া হয়েছে। ফাণ্ড না থাকায় বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতত করা হয়েছে।

(আরকে/এএস/মে ০৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test