E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লক্ষ্মীপুরে জাল সনদ দিয়ে সরকারি চাকুরীর অভিযোগ

২০১৬ মে ১৬ ১৫:১৮:২৩
লক্ষ্মীপুরে জাল সনদ দিয়ে সরকারি চাকুরীর অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার খালেদা বেগম (২৮) নামের শিক্ষিকা জাল সনদ দিয়ে চাকুরী নিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রায় ১৩ বছর ধরে চর জগবন্ধু মুুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে সে এ চাকুরী করছেন। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসক ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকার সচেতন মহল।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, রামগতি উপলোর চররমিজ গ্রামের মো: মোস্তফা মেয়ে খালেদা বেগম মাত্র ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করে। পরে বিগত ২০০৩ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি আহবান করা হলে কৌশল করে চর আবদুল্লা ইউনিয়ন আল মাদ্রাসাতুল জামিয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসার অন্য একজন শিক্ষক সনদ নিয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে নাম ঠিকানা ও পিতার নাম পরিবর্তন করে আবেদন করে। পরে ইন্টারভিউ পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চর জগবন্ধু মুুন্সিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা করে আসছে।

শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় এলাকার লোকজন ও অভিভাবকরা জানান, খালেদা বেগম ভালো করে নিজেই পড়তে ও লিখতে পারেনা। ফলে শিক্ষার্থীদের ভালো ভাবে পাঠদান করাতে পারছেনা না। এ কারণে দিনের পর দিন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিদ্যালয় ছুটি নিয়ে বাড়িতে ছুটি কাটান। তার শ্রেণী পাঠদান ভালো ভাবে না করায় শিক্ষার্থীরা ভালে ভাবে পড়াশুনা করতে পারছেনা। ফলে অনেক শিক্ষার্থী বছরের পর বছর ফেল করে আসছে। ওই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য ও কমলনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে ম্যানেজ করে মাসের পর মাস বছরের পর বছর সরকারি বেতন ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে খালেদা বেগম।

এ ব্যাপারে জগবন্ধু মুুন্সিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেহ উদ্দিন জানান, যখন বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়, তখন খালেদা বেগম সনদ পত্রের একটি ফটোকপি জমা দেন মূল কপি জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি সেটা আর দেননি। পরে শুনেছি সেই ভূয়া সনদ দিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে খালেদা বেগম অভিযোগ অস্বীকার বলেন, আমি জাল সনদে চাকুরী করছিনা। আমি মাদ্রাসা থেকে পাশ করেই ওই সনদ দিয়ে চাকুরী করছি। তবে স্থানীয়রা জানান, সেই সনদ দিয়ে বর্তমানে খালেদা বেগম চাকুরী করছে সেই সনদটি হচ্ছে চরজগবন্ধু গ্রামের আবদুল মালেকের মেয়ে খালেদ বেগম।

যোগাযোগ করা হলে কমলনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার জানান, বিষয়টি সম্পর্কে জানিনা। যদি এ রকম অভিযোগ পাই তা হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম মজুমদার জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বলা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল আজিজ জানান, জাল সনদের ঘটনাটি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমআরএস/এএস/মে ১৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test