E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফারুক হত্যা মামলায় এমপি রানাসহ ১০জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

২০১৬ মে ১৭ ১৭:১৪:৩০
ফারুক হত্যা মামলায় এমপি রানাসহ ১০জনের মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ  ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করেছে আদালত। সেই সাথে সকল আসামীর সকল অস্থাবর মালামাল ক্রোকের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।

অন্য আসামীরা হচ্ছেন : সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙ্গা বাবু, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন চাঁনে, নাসির উদ্দিন নুর, ছানোয়ার হোসেন ও সাবেক কমিশনার মাসুদুর রহমান।

এর আগে বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত টাঙ্গাইল সদরের বিচারক মোঃ আমিনুল ইসলাম শুনানি শেষে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ১০ জনের বিরুদ্ধে এ গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আসামীরা হাজির না হওয়ায় আদালত এ আদেশ দেন। সেই সাথে সকল আসামীদের আগামী ১৬ জুনের মধ্যে আদালতে হাজিরেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

টাঙ্গাইল কোর্ট ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পলাতক ১০ জন আসামীদের মধ্যে ৯জনের মালামাল ক্রোকের আদেশ টাঙ্গাইল থানায় ও বাকী একজনের আদেশ কালিহাতী থানায় পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক ভূইয়া জানান, আসামীদের মালামাল ক্রোকের আদেশ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি তারাসহ ১৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের মধ্যে ৪ জন জেলহাজতে রয়েছে তারা হচ্ছে : আনিছুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, সমীর মিয়া ও ফরিদ আহমেদ।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে রানা ও তাঁর ছোট ভাই বাপ্পা তাদের কলেজপাড়া বাসভবনের কাছে গ্লোবাল ট্রেনিং সেন্টারে আনিছুল ইসলামের (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) মাধ্যমে ফারুক আহমদকে ডেকে আনান বলে অভিযোগপত্রে বলা হয়। সেখানে তাকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন বাপ্পা। কিন্তু তিনি রাজি হননি।

এক পর্যায়ে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে শৌচাগারে যান। শৌচাগার থেকে ফেরার পথে কবির হোসেন (সাংসদের ঘনিষ্ঠ) পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। এরপর সাংসদ আমানুরের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমীর ও কবীর তার মৃতদেহ তার বাসার সামনে ফেলে আসেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

(এমএনইউ/এএস/মে ১৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test