E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হালুয়াঘাটে  জমে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

২০১৬ মে ২৮ ০৯:৩৯:০৩
হালুয়াঘাটে  জমে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : আসন্ন ৪ জুন ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নিবার্চনে স্ব-স্ব দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় হালুয়াঘাট উপজেলায় দলীয় প্রার্থীদের সাথে সমানতালে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থীরাও।

পৌরসভার সীমানা জটিলতার কারণে উপজেলার বারটি ইউনিয়নের মধ্যে ১০ টিতে ইউ.পি নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। হালুয়াঘাট সদর ও কৈচাপুর ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসূত্রে জানা যায়, ১০টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৫৩ জন। আ.লীগের মনোনীত ১০’জন বিএনপির ১০ জন, জাতীয় পার্টির ৩ জন, বিদ্রোহী ২৭ জন, ইসলামী আন্দোলন ২ জন ও ওয়ার্কার্স পার্টি ১ জন। সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১৪ জন, সাধারন সদস্য পদে ৪০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১নং ভুবনকুড়া ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী ছাড়া কোন বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। উক্ত ইউনিয়নে ১৬১৮৩ ভোটের মধ্যে ভোট যুদ্ধে মাঠে নেমেছেন মাত্র দু’জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী। আ.লীগের চারবারের নিবার্চিত সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম. সুরুজ মিয়া ও বিএনপির নবাগত প্রার্থী মোঃ রমজান আলী। এখানে উভয়ের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশংকা ব্যক্ত স্থানীয় ভোটাররা।

২নং জুগলী ইউনিয়নে ১৮৬৯২ ভোট, ৬ জন প্রতিদ্বন্ধি চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দলীয় ভাবে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক উসমান গনি, বিএনপির জিয়াউল হক জিয়া। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুল হাসান, মোঃ রুহুল আমিন,শফিকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মোঃ রাইসুল ইসলাম। উক্ত ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাথে টিকে থাকতে বড় দু’দলের প্রার্থীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে।

৫ নং গাজিরভিটা ইউনিয়নে ১৬২১৭ ভোট, ৪ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বিএনপির মোঃ শামছুল আলম শামীম। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ও ওয়ার্কার্স পার্টির মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। অত্র ইউনিয়নে শক্তিশালী কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হবে বলে ধারনা করছেন স্থানীয়রা ভোটাররা।

৬নং বিলডোরা ইউনিয়নে ১৬৫১০ ভোট, ৬ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিএনপির মোঃ সাবজাল হোসেন খান। বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী এবিএম কাজল সরকার, মোঃ শওকত আলী, আব্দুল জলিল, দেলোয়ার হোসেন মীর। বিএনপির বিদ্রোহী ৪ জন প্রার্থী থাকায় একক প্রার্থী নৌকা প্রতীকের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ ভোটাররা।

৭নং শাকুয়াই ইউনিয়নে ১৪৮৮৫ ভোট, প্রতিদ্বন্ধি ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ সাহেদ আলী, বিএনপির মোঃ ইউনুস আলী খান। চার বারের চেয়ারম্যান আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ নাজিম উদ্দিন, মোঃ শহিদুল ইসলাম সবুজ মিয়া, বিএনপির মোঃ আব্দুল গফুর,আমজাত হোসেন ও জাতীয় পার্টি আব্দুল জব্বার। অত্র ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নাজিম উদ্দিন ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইউনুস আলী খানের মধ্যে দ্বি-মূখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা।

৮নং নড়াইল ইউনিয়নে ১৭১৬৭ ভোট, ৫ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিএনপির মোঃ হারুন অর রশিদ। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ নবী হোসেন, বিএনপির মোঃ মোস্তাক আলম রুবেল ও জাতীয় পার্টির মোঃ নাজিম উদ্দিন। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নবী হোসেন ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম-এর মধ্যে দ্বি-মূখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সাধারণ ভোটাররা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

৯নং ধারা ইউনিয়নে ২০৮৫১ ভোট, ৮ জন প্রার্থীর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী তোফায়েল আহমদ বিপ্লব ও বিএনপির মোঃ মিজানুর রহমান মিজান। আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এম.এ. মতিন, মোঃ নজরুল ইসলাম, বিএনপির খুররম খান যুবরাজ। জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম, বিদ্রোহী প্রার্থী আশরাফ আকন্দ এরশাদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্বারী আবু বকর সিদ্দিক। এখানে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তোফায়েল আহমদ বিপ্লব ও বিদ্রোহী প্রার্থী এম.এ. মতিন এবং বিএনপির মোঃ মিজানুর রহমান মিজান-এর মাঝে ত্রি-মূখী ভোটযুদ্ধ হবে বলে স্থানীয় ভোটাররা অভিমত প্রকাশ করেন।

১০ নং ধুরাইল ইউনিয়নে ১৯৭৩৬ ভোট, ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ ওয়ারিস উদ্দিন সুমন ও বিএনপির মোহম্মদ আলী। আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদশা। এখানে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধে আওয়ামীপন্থি প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত বলে ধারণা করেন সাধারণ ভোটাররা।

১১ নং আমতৈল ইউনিয়নে ১৫৮৩৫ ভোট, ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যে আ.লীগের মনোনীত প্রার্থী মোঃ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মোঃ আক্কাছ আলী ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মোঃ শফিকুর রহমান শফিক। বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, রাজীব আল মামুন। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ হযরত আলী। বড় দু’দলের মধ্যে দ্বি-মূখী ভোটযুদ্ধ হবে বলে স্থানীয়রা জানায়।

১২নং স্বদেশী ইউনিয়নে ১৭২৬৭ ভোট, ৬ জন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোঃ হাবিবুর রহমান ও বিএনপির মোঃ মোনায়েম আলম খান (খোকন তালুকদার)। আ.লীগের বিদ্রোহী মোঃ ইরাদ হোসেন সিদ্দিকী, মোঃ আলমগীর খালেদ খান, বিএনপির মোঃ আব্দুল হাই ও মোঃ সুজারুল ইসলাম। এখানে আওয়ামীলীগের দু’জন ও বিএনপির দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় জমজমাট ভোটযুদ্ধ হবে বলে জানান অত্র এলাকার সাধারণ ভোটাররা।

নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানায়, বড় দু’দলে বিদ্রোহী প্রার্থীর ছড়াছড়ি থাকায় এবং প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করায় কঠিন সমীকরণে রয়েছেন তারা। ভোট নিয়ে হিসাব কষ্ছেন প্রতিদ্বন্ধিতাকারী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সাথে সাথে পাল্লা দিচ্ছেন সাধারণ ভোটারাও।

(জেসিজি/এস/মে২৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test