E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হালুয়াঘাটে ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে নাজমা খাতুন, পাচ্ছেন না বিচার!

২০১৬ জুন ০৮ ১৮:২৯:৫৬
হালুয়াঘাটে ৩ সন্তান নিয়ে বিপাকে নাজমা খাতুন, পাচ্ছেন না বিচার!

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের সুমনিয়া পাড়া গ্রামের বেলায়েত হোসেন এর সাথে ২০০৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি থানার চাঁন্দাপুর শেকেরপাড়া গ্রামের শাহাবদ্দিনের কন্যা নাজমা খাতুন (৩৫) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সংসার জীবনে তার সাফি (৯) আল-আমিন(৬) আদিবা(৪) নামে দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে জন্ম নেয়।

সন্তান জন্মের পর থেকেই যৌতুকের নেশায় বেলায়েত হোসেন (৩৮) ও চাচা শ্বশুর কামরুল (৪০) আওয়াল (৫০) আলাদীন (২৫) প্রতিনিয়ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে নাজমা খাতুনকে। অপর দিকে নাজমার স্বামী বেলায়েত হোসেন ২০১২ সালে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ব্যতি রেকে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার জীবন শুরু করে। এক পর্যায়ে নাজমাকে বেলায়েতের সংসার থেকে বিতাড়িত করতে মারধর, ঘরে তালা, বসত ঘর ভেঙ্গে ফেলার হুমকি সহ নানা পায়তারা করে যাচ্ছে বেলায়েতের পরিবারের স্বজনরা। সম্প্রতি জোর পূর্বক নাজমার গৃহ পালিত হাঁস মুরগি বিক্রি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়।

এখন তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নাজমা খাতুন, দ্বারে দ্বারে ঘুরেও পাচ্ছেন না বিচার। বিচারের আশায় গত ০৮ মে ২০১৬ইং তারিখে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ আলাদীনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পর দিন ০৯ মে গাজিরভিটা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি ফয়সালা করার জন্য নিজ হেফাজতে আলাদীনকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে থানা পুলিশকে জড়িয়ে নাজমা খাতুনের ক্ষতির লক্ষে অর্থের বিনিময়ে স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। অত:পর উল্লেখিত ব্যক্তিদ্বয় সংবাদ প্রকাশের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে তার উপর নির্যাতন চালায়। কথা গুলি একান্ত সাক্ষাৎকারে নাজমা খাতুন সাংবাদিকদের জানায়।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, আলাদীনকে থানা থেকে নিজ হেফাজতে ছাড়িয়ে নেয় এবং মীমাংসার চেষ্টা চলছে। তথাপি কথিত ব্যক্তিরা নিরীহ মহিলার উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেছেন।

এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ এম এ হক বলেন, অসহায় মহিলাটি লিখিত অভিযোগ এর মাধ্যমে জানিয়েছেন। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে ভুক্তভূগী নাজমা বেগম সু-বিচারের আশায় প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়েছেন।




(জেসিজি/এস/মে০৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test