বান্দরবানে অপহৃত আ.লীগ নেতার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি এলাকার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার ক্রানু মারমার বাসা থেকে সোমবার রাতে অপহৃত হন সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক ইউপি মেম্বার মং ফু মারমা। আওয়ামীলীগের দাবি জনসংহতি সমিতির অস্ত্রধারী সন্তাসীরা তাকে অপহরণ করেছে।

মঙ্গলবার রাতের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় অপহৃত ইউপি সদস্য মং ফু মারমাকে ফেরত না দিলে আগামীকাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ নেতা মং ফু মেম্বারকে অপহরনের প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত বিক্ষোভ-মিছিল সমাবেশে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা মারমা অবরোধের এই ঘোষণা দেন।

বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান, একেএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ন সম্পাদক লক্ষিপদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক অজিত কুমার দাশ, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ কামাল পাশা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, জনসংহতি সমিতির সাথে শান্তি চুক্তি হয়েছে বলেই পারিস্থিতি এখনো শান্ত। আওয়ামীলীগকে দুর্বল সংগঠন মনে করলে ভুল হবে।

আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে জানে। উন্নয়নের রূপকার বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবানকে শান্তি ও সম্প্রীতিময় জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন বলেই দলীয় নেতা-কর্মীরা এখনো শান্ত। পাহাড়ের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।

এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার শাক্তি আওয়ামীলীগের আছে। হত্যা, গুম, খুন, অপহরণ আর চাঁদাবাজী করে বেশী দিন ঠিকে থাকতে পারবেন না। পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখুন, অন্যথায় কঠিন পরিস্থিতির জন্য জনসংহতি সমিতিই দায়ী থাকবেন। বক্তারা অবিলম্বে অপহৃত আওয়ামীলীগ নেতা মংফু মারমাকে জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ ধাপের কুহালং ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই অপহরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় মহল।

(এএফবি/এএস/জুন ১৪, ২০১৬)