E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গলাচিপায় শিক্ষক কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ

২০১৬ জুন ২৮ ২১:৩২:২৯
গলাচিপায় শিক্ষক কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের মুদিরহাটে ৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার কালাই কিশোর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আলী হোসেনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ঐ স্কুল ছাত্রীর মা, বাবাকে লাঞ্চিত করে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। পরে ধর্ষিতার পিতা থানায় উপস্থিত হয়ে আলী হোসেন সহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিভিন্ন সূত্রমতে জানা গেছে, ধর্ষিতা উত্তর বাদুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী, এক হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই পড়াশোনার পাশাপাশি আলী হোসেনের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত সে। কাজের জন্য প্রতিদিন ঐ বাড়িতে আসাযাওয়া করার এক সময় আলী হোসেনের কু-নজরে পড়ে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক মেলামেশায় তাকে বাধ্যকরে আলী হোসেন। একপর্যায়ে কিশোরীর শরীরে অন্তঃসত্ত্বার লক্ষ্মণ দেখা দিলে চতুর আলী হোসেন কিশোরিকে ভয় দেখিয়ে আমতলী নিয়ে গিয়ে এক নার্স কতৃক তার গর্ভপাত ঘটান। এতে কিশোরিটি অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বিষয়টি তার মায়ের কাছে প্রকাশ পায়। এরপর তাকে নিয়ে তার বাবা, মা আলী হোসেনের বাড়িতে গেলে তিনি কৌশলে ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য রাশিদা বেগমকে খবর দেন। রাশিদা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষিতার বাবা, মাকে এ নিয়ে বারাবারি না করার জন্য হুমকি দেন। এ সময় ইউপি সদস্য রাশিদা বেগমের সাথে কথাকাটাকাটি হয় ধর্ষিতার বাবার সাথে। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মহিলা ইউপি সদস্য রাশিদা বেগম ধর্ষিতার বাবাকে মারধর শুরু করে। এসময় স্বামীকে বাঁচাতে আসলে ঐ কিশোরির মা কেও মারধর করা হয়, ঘটনার আকস্মিকতায় ধর্ষিতার আর্তচিৎকারে পার্শবর্তী লোকজন ছুলে আসলে ইউপি সদস্য ধর্ষিতার পরিবারকে এ নিয়ে বারাবারি করলে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।

(আরবি/পি/জুন ২৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test