E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

২০১৬ জুলাই ১৪ ১৮:০৮:০৪
নওগাঁয় ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছি ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে ৬ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । বৃহষ্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইউনিয়নের ভিজিএফ সুযোগ থেকে বঞ্চিত ৬ ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বিশেষ ভিজিএফ হিসেবে ওই ইউনিয়নে জনপ্রতি ২০ কেজি হিসেবে মোট ১ হাজার ৫শ’ ৯৫ জনের অনুকুলে ৩১ হাজার ৯শ’ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ওই ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদুল হক এবং সচিব কোহিনুর আক্তারের সহযোগিতায় উক্ত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুর ইউনিয়নের সর্বাধিক ৬শ’ জনের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও প্রত্যেককে ২০ কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ১৪ থেকে ১৫ কেজি করে। এনিয়ে এলাকাবাসীরর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে দেশের কয়েকটি জাতীয়সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরই ধারবাহিকতায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট বৃহস্পতিবার এলাকাবাসীর পক্ষে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আত্মসাতের ঘটনার পর যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে পুলিশসহ প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ তদন্তে এলেও উক্ত ট্যাগ অফিসার, সচিব এবং চেয়ারম্যানের যোগসাজশে তারা লোক দেখানো কতিপয় বাড়ি তল্লাশী করে কোন মালামাল পাওয়া গেলনা বলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তখন তাদের চিৎকার করে বলতে থাকেন যে পার্শ্ববর্তী খয়ের আলীর বাড়ি এবং ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে তল্লাশী করলেই চালগুলো পাওয়া যাবে। কিন্তু তদন্তকারী ব্যক্তিরা সেদিকে কোন কর্নপাত না করেই ফিরে চলে আসেন।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কোহিনুর আক্তারের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ট্যাগ অফিসার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদুল হকের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে ইউএনও অফিসে যদি অভিযোগ হয়ে থাকে তাহলে তদন্তপূর্বক তিনি আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।

এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল গফুরের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেও কথা না বলায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এখনো কোন অভিযোগ আমি পাইনি। হয়তো ডাক ফাইলে আছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

(বিএম/এএস/জুলাই ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test