E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মান্দায় ভূয়া ভাউচারে পল্লী উন্নয়ন সমিতির ২ লাখ টাকা আত্মসাত!

২০১৬ জুলাই ১৮ ১১:৪৪:৩৭
মান্দায় ভূয়া ভাউচারে পল্লী উন্নয়ন সমিতির ২ লাখ টাকা আত্মসাত!

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কেএম গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের নামে সমিতির দুই লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

টেন্ডার ছাড়াই তিনি সমিতির জমিতে যেনতেন প্রাচীর নির্মাণ করে এ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্যদের। অন্যদিকে বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যার নামেও সমিতির ৮ হাজার টাকা তিনি আত্মসাত করেন।

সমিতির সহ-সভাপতি ছহির উদ্দিন ও সদস্য সামসুল ইসলাম জানান, উপজেলা কোর্ট মসজিদ সংলগ্ন রাস্তার দক্ষিণ পাশে সমিতির নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে। ওই সম্পত্তিতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু টেন্ডার ছাড়াই পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কেএম গোলাম মোস্তফা ক্ষমতাবলে ইট, বালু ও সিমেন্ট কিনে নিজেই কাজটি করে ভাউচারে দুই লাখ ১০ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।

তারা তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২৫০০ বর্গ ফুটের প্রাচীরটি নির্মাণ করতে ২০ হাজার ইট, ১০০ বস্তা সিমেন্ট, ৪ ট্রাক্টর (৬০০ সিএফটি) বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এক নম্বর ইটের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ২ ও ৩ নম্বর ইটও। বাস্তবে মিস্ত্রি খরচ দেয়া হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে প্রাচীরটির প্রকৃত নির্মাণ ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সদস্যরা অভিযোগে আরো জানান, গত অর্থ বছরে সমিতির পক্ষ থেকে কোনো বৃক্ষ রোপন করা হয়নি। সমিতির ওই জমিতে ৫ বছর আগে ৫০টি আম গাছের চারা রোপন করা হয়েছিল। বর্তমানে তা ফলবান বৃক্ষ। কিন্তু কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা তাতে নতুন করে বৃক্ষ রোপন দেখিয়ে ও পরিচর্যার নামে ভুয়া ভাউচারে ৮ হাজার টাকার আত্মসাত করেন।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কেএম গোলাম মোস্তফা টেন্ডার ছাড়াই প্রাচীর নির্মাণের কথা
স্বীকার করলেও অভিযোগের বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন। বৃক্ষ রোপন ও পরিচর্যার বিষয়েও তিনি কোনো কথা বলেননি।

বিষয়টি নিয়ে ইউএনও সাইফুর রহমান খানের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(বিএম/এস/জুলাই ১৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test