E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাণীনগর শের-এ-বাংলা ডিগ্রী কলেজ অবশেষে জাতীয়করণ হলো

২০১৬ জুলাই ২৩ ১৬:২১:৩৫
রাণীনগর শের-এ-বাংলা ডিগ্রী কলেজ অবশেষে জাতীয়করণ হলো

নওগাঁ প্রতিনিধি : অবশেষে জাতীয়করণ হলো নওগাঁর রাণীনগর শের-এ বাংলা ডিগ্রী কলেজটি। এর মাধ্যমে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার পুরণের আরেক নজির স্থাপিত হলো।

বর্তমান সরকার অঙ্গিকার করেছিলেন, প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে কম্বাইন (কো-এডুকেশন) কলেজ ও একটি স্কুল জাতীয়করণ করা হবে। এরই প্রেক্ষিতে জাতীয়করণ করা হলো রাণীনগর শের-এ বাংলা ডিগ্রী কলেজটি।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর গত ৩০ জুন ২০১৬ তারিখে ৭এ/০৯/সি-২/২০১৩/৫৬৩৯(ক)/৫ নং স্মারক অনুযায়ী এই জাতীয়করণের তালিকা প্রকাশ করেন। স্মারকে দেশের ১৯৯টি কলেজের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে রাণীনগর শের-এ বাংলা ডিগ্রী কলেজের ক্রমিক নং ১১৯। এই জাতীয়করণের মধ্য দিয়ে উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হলো। তাই কলেজের ছাত্র/ছাত্রী, অবিভাবক, এলাকাবাসি ও সুধীমহল বর্তমান উন্নয়নমুখী সরকারের তথা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে নওগাঁ জেলার রাণীনগর থানায় উচ্চ শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে শের-এ-বাংলা একে ফজলুল হক স্মরণে উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান প্রয়াত আব্দুল জলিলের (সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী) সভাপতিত্বে রাণীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন কে সদস্য সচিব/ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করে কিছু বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগ ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় টিনশেডের তৈরি কয়েকটি কক্ষ নিয়ে শিক্ষাদান করার যাত্রা শুরু হয় কলেজটির। পরবর্তিতে ১৯৮৫ সালে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ গঠিত হওয়ার পর তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রয়াত কেসি মশিউর আলম (বাচ্চু চৌধুরী), উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হাদি, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরিদশর্ক শামসুল হক কোরায়েশীর সহযোগীতায় কলেজটি শিক্ষা কার্যক্রম চালু হলে ১৯৮৬ সালে এটি এমপিও ভুক্ত হয়।

১৯৯৪ সালে এডিবির অর্থায়নে উচ্চ মাধ্যমিক প্রকল্পের অধিনে ত্রি-তল ভবন নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে নতুন চারতলা ভবনের কাজ চলমান। গত ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শাখায় কম্পিউটার সায়েন্স ও সেক্রেটারীয়েল সায়েন্স ট্রেড চালু হয় এবং এডিবি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রকল্পের শর্ত থাকায় পরবর্তিতে ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষে শর্ত উত্তীর্ণে স্নাতক (পাশ), বিএ, বিএসএস কোর্স চালু হয়।

বর্তমানে এই কলেজে ১ হাজার ৫৩ জন ছাত্র/ছাত্রী অধ্যায়নরত। শুধু শিক্ষাতেই নয় স্কাউটে গত ১৪ সনে কলেজটি ৪টি বিভাগে নওগাঁ জেলার মধ্যে প্রথম হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রতি বছর এই কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভালো ফলাফল অর্জন করে দেশের বিভিন্ন খ্যাতনামা বিদ্যাপীটে অধ্যয়ন করছে। এখানকার অনেক শিক্ষার্থীরা আজ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন।


(বিএম/এস/জুলাই ২৩,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test