E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় জঙ্গি সন্দেহে শিশুসহ ৫ জন আটক

২০১৬ আগস্ট ০৫ ২১:৫৫:১৪
সাতক্ষীরায় জঙ্গি সন্দেহে শিশুসহ ৫ জন আটক

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :জঙ্গি সন্দেহে সাতক্ষীরার  আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালি হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে এক শিশুসহ পাঁচজনকে আটক করে জনতা পুলিশে সোপর্দ করেছে। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে তাদেরকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ক্ষুব্ধ জনতা মাদ্রাসা সুপার আনিসুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।

আটকরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মেহেদি হাসান ইমরান ( ২৩), খুলনা জেলার লবনচরার হাসনাবাদ গ্রামের আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে রফিকুল ইসলাম(২৭), মেহেরপুর জেলা শিবচরের আলোপুরের আবদুল খালেক মোল্লার ছেলে মোশাররফ হোসেন (২০) শরিয়তপুর জেলার জাজিরার চরদুপুর গ্রামের আহমেদ নাজিরের ছেলে নাজিম হোসেন (২৩ ) ও শরিয়তপুর জেলার একই গ্রামের কুদ্দুস মাঝির ছেলে ইয়ামিন হোসেন ( ১২) । তারা এখানে আত্মগোপনে থেকে জঙ্গি বিষয়ক তৎপরতা চালাচ্ছিল বলে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।

খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম জানান, ফটিকখালি হাফিজিয়া মাদ্রাসাটি অনেকটা দুর্গম এলাকায়। একই উপজেলার খালিয়া গ্রামের আনিসুর রহমান মাদ্রাসাটি পরিচালনা করেন। শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে যুবকদের আটক করার সাথে সাথে তিনি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তিনি জানান আনিসুর রহমানের স্ত্রী জোহরা খাতুন মহিলাদের সংগঠিত করতে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান বলে খবর রয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী আনিসুরের বাড়ি ভাঙচুর করেছে।

চেয়ারম্যান জানান তাদের সাথে ১২ বছর বয়সের যে শিশুটি আছে সে ওই যুবকদের জন্য বিভিন্ন বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসতো। তার বরাত দিয়ে তিনি জানান ওই যুবকরা রাতভর জেহাদী কথাবার্তা বলতো। যুবকদের বরাতে চেয়ারম্যান আরও জানান তারা সেখানে হেফজা শিখতে এসেছে বলে জানিয়েছে। এর আগে তাদের প্রধান রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন বলে দাবি করেছেন। এই ইটাগাছা মাদ্রাসায় ২০০৫ সালে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ হতো বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা জানিয়েছেন।

এদিকে খালিয়া গ্রামের আসমত আলী, হগাঙ্গীর হোসেন ও রহিম গাজী জানান, খাজরা ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, সাতক্ষীরা আলিয়া মাদ্রসার কম্পিউটর শিক্ষক আশাশুনি উপজেলার কাপষণ্ডাগ্রামের ইকবাল হোসেন ও খাজরা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক কাপষণ্ডা গ্রামের কুদ্দুস মোড়লের সহায়তায় এক মাস আগে অপরিচিত কয়েকজন লোক কাপষণ্ডা ও চেউটিয়া বাজারের দেয়ালে দেয়ালে জামায়াত ইসলামের পোষ্টার সাটে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইকবাল হোসেনের বাড়িতে অবস্থানকারি ওইসব যুবক পালিয়ে যায়। এরপর থেকে আব্দুল কাদের, ইকবাল হোসেন ও কুদ্দুস মোড়লের সার্বিক সহায়তায় প্রত্যন্ত অঞ্চল ফটিকখালি ও খালিয়া গ্রামে অপিরিচিত লেঅকজনদের আনাগোনা চলত।

তারা আরো জানান, উপজেলার একশরা গ্রামের আনিসুর রহমান নিজ বাড়ি ছেড়ে কয়েক বছর আগে শ্বশুর খালিযা গ্রামের আলহ্বাজ আব্দুল গফুরের বাড়িতে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তিনি ফটিকখালি জাঢিজিয়া মাদ্রাসা ও হেফজাখানা পরিচালনা করে আসছিলেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) গোলাম রহমান জানান, আটকরা ২০ দিন আগে থেকে খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালি হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজাখানায় অবস্থান নেয়। সেখানে তারা ধর্মীয় আলোচনা করতো। শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় তাদেরকে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে সন্দেহ করেন । বিকেল চারটার দিকে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার ( এএসপি) মো. সালাহউদ্দিন তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তারা জঙ্গি কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।



(আরএনকে/এস/আগষ্ট০৫,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test