E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ না হওয়ায় ক্ষোভ

২০১৬ আগস্ট ০৬ ১৭:৪৬:০৫
রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ না হওয়ায় ক্ষোভ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি : বর্তমান সরকার দেশে মোট ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তবে পরিতাপের বিষয় যে,ঠাকুরগাও জেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজটি,সে তালিকায় নাই। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের প্রাণের দাবি ৪৬ বছরের পুরোনো কলেজটি সরকরি করণ করা হউক। রাণীশংকৈলের প্রাণ পুরুষ উপজেলা আ,লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আলী আকবর এমপির স্বপ্নের ফসল প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭২ সালে কলেজটি স্থাপিত হয়, ১৯৯০ সালে ডিগ্রী পাশ,কোর্সের অনুমতি পাওয়ার পর নাম পরিবর্তন করে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ রাখা হয়।

এ কলেজ থেকে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। খেলাধুলা, সংস্কৃতি কর্মকান্ডে এলাকার বিনোদনের চাহিদা পূরণ করছে ওই মাঠ,এছাড়াও সরকারী ভাবে জাতীয়দিবসগুলো পালন করা হয় কলেজ মাঠে । কলেজ চত্বরে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। আধুনিকতায় ছোঁয়ায় ১০ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। শহীদদের স্মৃতিটুকু ধরে আছে এই শহীদ মিনার। শিক্ষার আলো ছড়াতে মরহুম আলী আকবর এমপির উদ্যোগে ৫ একর .০৬ শতাংশ জমিতে রাণীশংকৈল মহাবিদ্যাালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ তোয়াহা’র পরিবারের লোকজন কলেজটির জমি দাতার গৌরব অর্জন করেন। প্রতিষ্ঠা কাজে মরহুম মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান, অধ্যক্ষ মুনসুর আলী, ইমরান আলী, আজিজুর রহমান চেয়ারম্যান, হামিদুর রহমান চৌধুরীসহ অনেক জ্ঞানী গুনিজন সহযোগিতা করেন। উপজেলার শিক্ষা সম্প্রসারণে নেতৃত্ব দিচ্ছে অত্র কলেজটি। উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শুরু করে অনার্স সহ বিভিন্ন পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে বর্তমানে পরিচিতি সর্বত্রই।

ঐতিহ্যের বাহক এই কলেজটিকে শতভাগ পাশের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। কলেজ কর্তৃপক্ষ চেষ্টা চালিয়ে যচ্ছেন আশারূপ ফলাফলের জন্য। কলেজের কাঠামোগত অবস্থান সুদৃঢ় ও সুনিপুণ পরিকল্পনা রয়েছে। কলেজটিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর বৃক্ষ পরিবেষ্টিত পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ছাড়াও রয়েছে বড় একটি খেলার মাঠ। খেলার মান উন্নয়নে পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী রয়েছে। বিজ্ঞানাগারে যন্ত্রপাতি কিছু সংকট থাকলেও তা পুরণের পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৮৪০ জন। শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত আছেন। কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ভবন ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে।

আরো ভবন নির্মান কাজ ও পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। স্যানিটেশন আর আসবাবপত্রের উন্নয়নে আধুনিকতার ছোয়া রয়েছে প্রয়োজনীয় পরিমান বই পত্রে সজ্জিত পাঠাগার । কলেজটিতে বাংলা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, ব্যবস্থাপনা, দর্শন, হিসাব বিজ্ঞান ও ইসলামের ইতিহাস এই ৭টি বিষয়ে অনার্স চালু রয়েছে। আবেদিত রয়েছে ইতিহাস, সাধারণ ইতিহাস, অর্থনীতি বিষয়ে। এছাড়াও বিএনসিসি, স্কাউটসহ নবীন বরণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও জাতীয় দিবসগুলো যথাযথ পালিত হয়। কলেজ সরকারি করণ হওয়ার ১৭টি শর্তাবলির সঠিক পরিপূর্ণতা রয়েছে।

রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজকে সরকারিকরণের দাবিতে কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গভর্নিং বডির সদস্য , সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসির প্রাণের দাবিতে মানব বন্ধন, র‌্যালী অনুষ্ঠিত ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার নাহিদ হাসানের হাতে স্মারক লিপি ইতিমধ্যে প্রদান করেছেন।

রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ শিক্ষার মাইল ফলক তৈরী করেছে। অনেক ইতিহাস ঐতিহ্য আর সফলতার ধারক ও বাহক অত্র প্রতিষ্ঠানটি। পরিতাপের বিষয়, কলেজটিকে সরকারিকরণ করা হয়নি। কলেজটিকে সরকারিকরণের জোর দাবি জানান তিনি।

(কেএএস/এএস/আগস্ট ০৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test