E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যুবলীগ নেতা হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানুষের ঢল

২০১৬ আগস্ট ১২ ১২:৪১:৩৩
যুবলীগ নেতা হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মানুষের ঢল

মুশফিক মাসুদ,নেত্রকোনা থেকে : নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার হুগলা ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমান তোলা (২৮) হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে নারী-পুরুষ,যুবা-বৃদ্ধসহ ঢল পড়েছে পূর্বধলা উপজেলায়।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে হুগলা চৌরাস্তা থেকে কয়েক কিলো সড়ক কয়েক হাজার মানুষ একজোটে অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী।

বিক্ষোভ সমাবেশ,শোক র‌্যালী,দশ মিনিট নীরবতায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোনাজাত পালন করে দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ।

সমাবেশে তোলা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বক্তব্য রাখেন, পূর্বধলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, হুগলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, পূর্বধলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক নুরুল আমিন খান পাঠান শওকত, ২ নম্বর হুগলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খোকন, সাবেক চেয়ারম্যান হায়দার খান, ২ নম্বর হুগলা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মজিদ, হুগলা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ।

তোলা হত্যাকাণ্ড নিঃসন্দেহে নির্মম ও লোমহর্ষক ঘটনা আখ্যা দিয়ে বক্তারা বলেন, “বুলবুল পূর্বধলায় একজন ঘৃণিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত। চুরি রাহাজানিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের জন্যে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে”। বুলবুলকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, সোমবার (৮ আগস্ট) রাতে যুবলীগ নেতা তোলা ও তার বাচ্চু নামের এক বন্ধু মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিল। পরে হুগলা গ্রামের শহীদ ব্যাপারীর ধানের গুদামের কাছে পৌছলে বুলবুল মীরসহ তার সঙ্গীয় লোকজন পথরোধ করে তোলা ও বাচ্চুকে আক্রমণ করে। পূর্ব শত্রুতার জেরে রামদা ও দেশীয় অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয় তোলা ও বাচ্চুকে।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদেরকে প্রথমে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে নিয়ে যাওয়া হয় ময়মনসিংহ মেডিকেল (মমেক) কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তোলাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যাকান্ডের এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে পূর্বধলা থানায় চলিত ডহর গ্রামের সুরুজ মীরের ছেলে বুলবুল মীরসহ নাম উল্লেখ ২৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তোলার বড়বোন শেফালি আক্তার।

ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভূক্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ওসি আরো দাবি করে, বুলবুলসহ পলাতক অন্যান্য সকল আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে। তোলা হত্যার ঘটনায় পূর্বধলায় এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্তক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ।




(এমএম/এস/আগস্ট১১,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test