E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে উড়োফোন

২০১৬ আগস্ট ১২ ১৬:৫৪:১৮
বাগেরহাটে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে উড়োফোন

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে আইন-শৃংখলা বাহিনীর পরিচয়ে উড়োফোনে কথিত জঙ্গি তালিকায় নাম ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাথে প্রতারনার করছে একটি চাঁদাবাজ চক্র। এই প্রতারক চক্রটি পুলিশের গোয়ন্দা বিভাগের পরিচয় দিয়ে মাদ্রসা সুপার ও শিক্ষকদের বিভিন্ন নাম্বর থেকে দফায় দফায় ফোন করে ভয় দেখিয়ে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছে।

বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও মংলা উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষকদের কাছে এমন উড়ো ফোন আসছে বলে বিভিন্ন মাদ্রাসা প্রধান ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। এমন উড়ো ফোনে জেলার মাদ্রাসা শিক্ষকদের মধ্যে দেখা দিয়ে আতংক। এমন ফোন পেয়ে শিক্ষকদের কেউ কেউ ছুটে গেছেন জেলা ডিবি পুলিশের কার্যালয়, আবার কেউ কেউ গেছেন স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে।

পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের মংলা পৌর শহরতলীর আরাজী মাকোডোন দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. মনিরুজ্জামানকে গত সোমবার বিকাল ৩টায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এসআই আলতাফ পরিচয় দিয়ে ০১৮৫৯১৬৬৪৩০ এ নাম্বার থেকে ফোন করা হয়। এ সময় ওই মাদ্রাসা সুপারকে বলা হয় ‘জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার জঙ্গি তালিকায় আপনার নাম রয়েছে ইচ্ছে করলে আপনি এ তালিকা থেকে নিজের নাম কাটাতে পারেন। বলেন কিছুক্ষন পর আমার স্যার আপনাকে ফোন করবে তাকে রাজি খুশি করাতে পারলে আপনার নাম কাটানো সম্ভব হবে। এর পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা দাবি করে জনৈক মিজানুর রহমান সন্ধ্যা ৭টা ২৫মিনিটে ০১৬১১১০৯৭৪২ নাম্বার থেকে মাদ্রাসা সুপার মো. মনিরুজ্জামানকে ফোন করেন।

এ সময় গোয়ন্দা পুলিশের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বলেন, আপনি মাদ্রাসা সুপার ওমুক ? জি, স্যার বলতে তিনি বলেন’ বিকালে আমার অফিস থেকে আপনাকে ফোন করা হয়েছিল এবং আপনি নিশ্চয় সবকিছু শুনে নিয়েছেন ! এখন জঙ্গী তালিকার লিস্ট আমার টেবিলে’ এ তালিকা ধরেই ক্রসফায়ার দেয়া হবে। আর আপনি যদি এ তালিকা থেকে নাম কাটাতে চান তা হলে কিছু খরচ খরচা আছে, আর এ জন্য আপনাকে জেলা সদরে এসে আমার সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে। এ কখা বলেই ফোন কেটে দেয়া হয়।

একই ভাবে মংলার কোরবান আলী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. গোলাম মোস্তফা, চাঁদপাই পীর মোছের শাহ্ দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. হুমায়ন কবির, দক্ষিন চিলা মাদ্রাসা সুপার মাওলানা নওশের আলী, কচুবুনিয়ার দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা কবির হোসেনসহ আরও অনেক মাদ্রাসা শিক্ষককে একই নাম্বার থেকে ফোন করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী ওই দুই প্রতারক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাদ্রসা শিক্ষকরা থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।

বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, এই প্রতারক চক্রের কললিস্ট সংগ্রহসহ গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গতিবিধির ওপর নজরদারী করছে। এছাড়া প্রতারক চক্রের কাছ থেকে ফোন পেলে সংশিষ্ট থানা অথবা সরসরি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

(একে/এএস/আগস্ট ১২, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test