E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণকারীরা কারো অমঙ্গলের কথা চিন্তা করতে পারে না’

২০১৬ আগস্ট ১৭ ১৫:০৭:৩৯
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণকারীরা কারো অমঙ্গলের কথা চিন্তা করতে পারে না’

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মো: হাবিবুর রহমান মালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণকারীরা কখনো মানুষের অমঙ্গলের কথা চিন্তা করতে পারে না। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। একটি মহল দেশকে জঙ্গবাদী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিত করতে চায়। যারা দেশের স্বাধীনতা চায় নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে, বঙ্গবন্ধুকে যে দিন নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো তখন আমার বয়স ২০ বছর।

হত্যাকান্ডের পরে আমাকে একজন ফোন করে বলে রেডিওটা শুনেন। রেডিওতে আমি বঙ্গবন্ধু কে স্বপরিবারে হত্যাকান্ডের কথা জানতে পারি। এরপর আমি চিন্তা করলাম যে মানুষটি একটি মানচিত্র দিল একটি পতাকা দিল সে মানুষটিকে কেন মারা হলো। আমি তখন এর প্রতিবাদ জানানোর বিষয়ে চিন্তা করতে লাগলাম, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর প্রচার চালানো হয় সামরিক অভ্যুত্থান কিন্তু এটা ছিল কিছু উৎশৃঙ্খল সেনা সদস্যের কাজ। বঙ্গবন্ধুর আত্মা তখনই শান্তি পাবে যখন বাংলার মানুষে খেয়ে পড়ে সুখে-শান্তিতে থাকবে পারবে। তিনি উপস্থিত সবার উদ্যোশে প্রতিটি এলাকায় সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ বিরোধী কমিটি গঠনের আহবান জানান।

তিনি মঙ্গলবার বিকালে শহরের টাউন ক্লাব মাঠে স্বাধীনতা মঞ্চে এ সভার আয়োজন করে পিরোজপুর সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ এর আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য এ সব কথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তিতায় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট এম এ হামিক হাওলাদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যার পর যখন অনেক আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা ঘর থেকে বের হতো না তখন তরুন বয়সী এই হাবিবুর রহমান মালেকই পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর শাস্তির দাবিতে পোষ্টার লাগিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, পানি ছাড়া যেমন মাছ থাকতে পারে না তেমনি কর্র্মী ছাড়া কোন নেতাও থাকতে পারে না। যে নেতার কর্মী নাই সে নেতার নেতৃত্ব নাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবুর রহমান খালেক বলেছেন বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের অনেকের করুন মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে জিয়াউর রহমানের করুন মৃত্যু আপনারা দেখেছেন। যে সামরিক বাহিনী দিয়ে তিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলেন সেই সেনা বাহিনীই তার বুক ঝাজরা করে দিয়েছে।

সভায় সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি সরদার মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন নান্নার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এডভোকেট এম এ মান্নান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার সমীর কুমার দাস বাচ্চু, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, এডভোকেট মোস্তফা কামাল,,জেলা কৃষকলীগের সভাপতি চাঁন মিয়া মাঝি, পিরোজপুর সদর থানা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন মল্লিক স্বপন, আওয়ামীলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম হীরু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি খান মো : আলাউদ্দিন ,জেলা ওলামালীগ সভাপতি মাওলানা মীর মো: ফারুক আবদুল্লাহ, জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড: আক্তারুজ্জামান মানিক , পৌর যুবলীগ সভাপতি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বিপ্লব,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল ইসলাম শিকদার, সাবেক ছাত্রনেতা আহসান হাফিজ মিলু,সরকারি সোহ্রাওয়ার্দী কলেজ সাবেক ভিপি মাসুদ আহমেদ রানা, সরকারি সোহ্রাওয়ার্দী কলেজ সাবেক ভিপি ফয়সাল মাহবুব শুভ , জেলা ছাত্রলীগ সাধারন সম্পাদক মো : খায়রুল ইসলাম মিঠু , সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি এস এম বায়েজিদ হোসেন সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

(এআরবি/এএস/আগস্ট ১৭, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test