E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে নিকাহ্ রেজিষ্টারসহ চার জনের নামে মামলা

২০১৬ আগস্ট ১৮ ২১:০৫:১৪
বাগেরহাটে নিকাহ্ রেজিষ্টারসহ চার জনের নামে মামলা

বাগেরহাট প্রতিনিধি :বাগেরহাটে প্রতারণার অভিযোগে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়ন নিকাহ্ রেজিষ্টারসহ (কাজী) চার জনের নামে প্রতারণার মামলা হয়েছে। বাগেরহাট সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামের মোঃ জাকারিয়া তালুকদার বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামের জাকারিয়া তালুকদারের সাথে একই উপজেলার খালকুলা গ্রামের অলিয়ার রহমানের মেয়ে মোসাঃ মারজানা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নিকাহ রেজিষ্টার হিসাবে আসা দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের মাওলানা আব্বাস আলী জোমাদ্দার ৪৪ হাজার ৯শত ৯৯ টাকা দেনমোহরে তাদের বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেন। বিয়ের কিছুদিন তাদের সংসারে অবনিবনা দেখা দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুলাই মারজানা আক্তার বাদী হয়ে জাকারিয়া তালুকদার ও তার মাকে আসামী করে একাট যৌতুক মামলা দায়ের করেন। আর এই মামলার সাথে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯শত ৯৯ টাকা দেনমোহর লেখা একটি বিবাহ রেজিষ্ট্রির নকল দাখিল করেন। এই নকলের অসংলগ্ন সত্য দেখে জাকারিয়া তালুকদার ও তার পরিবারসহ বিয়ের দিন উপস্থিত থাকা সবাই হতবাক হন। ছেলে পক্ষ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে মূল নিকাহ্ রেজিষ্টার তলিগাতী ইউনিয়নের হাফেজ মনিরুজ্জামান। তার রেজিষ্টার বই নিয়ে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেন মাওলানা আব্বাস আলী।

জাকারিয়া তালুকদার নিকাহ্ রেজিষ্ট্রির নকল আনতে মনিরুজ্জামানের কাছে গেলে তাকে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯শত ৯৯ টাকা দেনমোহর লেখা, কন্যা তালাক প্রাপ্তা এবং বিবাহ পড়িয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান নিজে উল্লেখ করে একটি নকল কপি দেন। যার সাথে মারজানার যৌতুক মামলায় দাখিল করা নকলের সাথে অনেক অমিল দেখা যায়। জাকারিয়া তালুকদার দু‘টি নকল দুই রকম কেন জানতে চাইলে নিকাহ্ রেজিষ্টার মনিরুজ্জামান এবিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করতে বলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে তার অফিস থেকে বের করে দেন। নিরুপায় হয়ে জাকারিয়া তালুকদার বাগেরহাট সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে নিকাহ রেজিষ্টারসহ ৪ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং- সি অর -১৬০/১৬)।

এবিষয়ে নিকাহ রেজিষ্টার হাফেজ মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এঘটনার জন্য মাওলানা আব্বাস আলী দায়ী বলে জানান। পরে উত্তেজিত হয়ে বলেন, তার অনেক লোকজন আছে। তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তেলিগাতি ইউনিয়নের একাধিক ব্যাক্তি জানান, কাজী হাফেজ মনিরুজ্জামান এধরনের অনেক ঘটনাই ঘটিয়ে থাকেন।

বাগেরহাটের জেলা রেজিষ্টার মোঃ মনিরুল হক প্রধান জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তের পর মন্ত্রালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) এবিষয়ে মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাসেদুল আলম বৃহস্পতিবার বিকালে এ প্রতিবেদককে জানান, আদালতে যে মামলা দায়ের করা হয়েছে তার নথি পেয়েছি। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

(এসএকে/এস/আগস্ট১৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test