E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেহালদশা; রাস্তা যেন মরণফাঁদ

২০১৬ আগস্ট ২২ ১২:৩৩:১৩
হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেহালদশা; রাস্তা যেন মরণফাঁদ

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : সীমান্ত পাদদেশ ঘেরা দেশের অন্যতম গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী স্থলবন্দর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায় অবস্থিত। এই স্থলবন্দর দিয়ে আমাদানি-রফতানি পণ্যবাহী শত শত ট্রাক হালুয়াঘাট-ময়মমনসিংহ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করে আসছে এবং সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, কয়লা ব্যবসার অন্যতম স্থান হিসেবে পরিচিত স্থল বন্দরটি।

অথচ এই ব্যস্ততম মহাসড়কটি আজ খানাখন্দে ভরপুর। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যাচ্ছে কাঁদা-কর্দমায় ছোট বড় শত শত গর্ত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই মহাসড়কের পরিবহন চালক ও যাত্রী সহ পথচারীদের। দৈনন্দিন দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসী সহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের, প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।

সরেজমিনে দেখা যায়, হালুয়াঘাট থেকে ময়মনসিংহের দুরত্ব প্রায় ৫১ কিলোমিটার। তার মধ্যে হালুয়াঘাট থেকে পাশ্ববর্তী উপজেলা ফুলপুর এর দূরুত্ব ১৯ কিলোমিটার। প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তায় খানা-খন্দে ভরপুর রয়েছে। সড়কে রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। এই মহাসড়কে চলাচল করতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক প্রায় সময় বিকল হচ্ছে এবং ঘটছে দূর্ঘটনা। অকালে পঙ্গুত্ববরণসহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে জনসাধারণ। এছাড়া বৃষ্টি এলে রাস্তার ছোট-বড় গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়। ফলে পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

এই মহাসড়কের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা ও প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে উপজেলার পৌর শহরের পুরাতন বাসট্যান্ড আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখভাগে, মিলগেইট, ধারা বাজার, বীরগুছিনা ও নাগলা বাজার সহ বিভিন্নস্থানে।

এলাকাবাসী এসব দুর্ঘটনার জন্য মহাসড়কের বেহালদশা কে দায়ী করছে। মহাসড়ক সংস্কারের অভাবে তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি এইসব গর্তে ইটের খোয়া ও বালু ফেলা হলেও তা উঠে গেছে। এখন বৃষ্টি হলে পানিতে তলিয়ে যায় গর্তগুলো। ফলে গর্ত দেখা না যাওয়ায় প্রায় দিনেই দুর্ঘটনা ঘটছে।

এ বিষয়ে, সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী আল-আমিন এ প্রতিবেদক কে বলেন, ইতিমধ্যে মহাসড়কটির কিছু অংশে কাজ করা হয়েছে। বেশি খারাপ স্থানগুলি বর্ষা মৌসুম হওয়ায় ইটের খোয়া ও বালি দিয়ে স্বাভাবিক চলাচলের উপযোগী করা হয়েছিল। আমরা নিয়মিতভাবে গর্ত বন্ধে কাজ করছি। তবে ভারি যানবহন চলাচলের কারণে গর্তগুলো বড় হচ্ছে। যে পরিমাণ বরাদ্দ ছিল তার সম্পূর্ণ কাজ করা হয়েছে। আরো বরাদ্দের জন্য চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে সংস্কার কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।



(জেসিজি/এস/আগস্ট২২,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test