E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আশাশুনিতে এলাকাবাসির স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা

২০১৬ সেপ্টেম্বর ২১ ১৪:৫৫:২৫
আশাশুনিতে এলাকাবাসির স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহনিয়ায় কপোতাক্ষের ধসে পড়া বেঁড়িবাধটি এখনও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে সোমবার দু’টি গ্রাম প্লাবিত হলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আরা চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঠিকাদারের ও ছয় গ্রামের ১০ হাজার মানুষ বাধটি সংস্কারে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে, জোয়ারের পানি প্রবেশ করে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান,গত রবিবার মাঝ রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত থেকে ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য ঘের, পুকুর ও ফসলি জমি। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে তিন হাজার পরিবার। প্লাবিত গ্রামগুলো হল, কুড়িকাউনিয়া, কল্যাণপুর, শ্রীপুর, সনাতনকাটি, প্রতাপনগর ও তালতলা। এর আগে রবিবার গভীর রাতে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ৭/২ পোল্ডার সংলগ্ন এলাকায় কপোতাক্ষের প্রায় দেড়’শ ফুট বেঁড়িবাধ নদীগর্ভে বিলীন হয়।

প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেনসহ স্থানীয়রা জানান, আগে থেকেই বাধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। প্রবল জোয়ারের চপে হঠাৎ করেই মঙ্গলবার ভোর রাতে বাঁধটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত তিন হাজার পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়ে, পানিতে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি।

তারা আরো জানান, ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রায় ১০ হাজার মানুষ স্বেচ্ছায় বেড়িবাধটি সংস্কার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেড়িবাধটি সংস্কার করা না গেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ফারুক হোসেন জানান, কপোতাক্ষের কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট এলাকার বেঁড়িবাধটি সংস্কার করার জন্য ভিতর দিয়ে একটি ৩০০ মিটারের রিংবাধ দেয়া হচ্ছে। সেখানে ঠিকাদার ও স্থানীয় লোকসহ ১০ হাজার মানুষ কাজ করছেন। অর্ধেক কাজ শেষ হওয়ার পর দুপুরে জোয়ার এসে যাওয়ায় সন্ধার পর আর কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বুধবার বাকি অংশের কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি আরো জানান।

(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test