E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামরাইয়ে ১৯২টি মন্দিরে ব্যাপক আয়োজনে শারদীয়া দুর্গোৎবের প্রস্তুতি

২০১৬ সেপ্টেম্বর ২৬ ১৭:১৪:৫৪
ধামরাইয়ে ১৯২টি মন্দিরে ব্যাপক আয়োজনে শারদীয়া দুর্গোৎবের প্রস্তুতি

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ফসলে, ফুলে ফলে ভরবে ধরা ভক্তদের দর্শন দিতে এবার দেবী দূুর্গা আসবেন ঘটকে চড়ে ফিরবেনও ঘটকে চড়ে। গত বছরে এসেছিলেন নৌকায় চড়ে, দোলায় গমন করেন। ধামরাইয়ে প্রতিমা গড়ার শিল্পীরা এখন মাটির কাজ ও মূর্তি শুকানোর কাজ অনেকটাই শেষ পর্যায়ে এনেছেন। শুরু হয়েছে রং তুলির ও সাজ-সজ্জার কাজ। এ নিয়ে ধামরাইয়ের প্রতিমা শিল্পীরা এখন মহা ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

আগামী ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হবে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব। এবার ধামরাই উপজেলার একটি পৌরসভা ও ষোলটি ইউপির বিভিন্ন স্থানে ১৯২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনরা এ উৎসবের আয়োজনে এখন মহা ব্যস্ত ।

বাঁশ দিয়ে অবকামো তৈরি, প্রতিমা শিল্পীরা তাদের সহ কর্মীদের দিয়ে মাটি নরম ও তৈরি করার পর প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ও মূর্তি গড়ার কাজও শেষ করেছে।

ধামরাইয়ের পুরাতন ও পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্র রথখোলায় প্রধান সড়কের উপর নিজস্ব উদ্যোগে পারিবারিক ভাবে উৎসব আয়োজন কারী ব্যবসায়ী প্রকাশ বণিক বলেন দুর্গা মন্দিরের ও মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হয়েছে দু’দিন পর থেকেই শিল্পীরা রং-তুলির কাজ শুরু করবেন বলেন। তিনি সকলকে এই উৎসব উপভোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

পুজারী ও উপজেলা হিন্দু মহা জোটের সভাপতি খগেশ রাজবংশী বলেন প্রতি বরের মতো এবারো শান্তিপূর্ণভাবে উৎসব পালন করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

ধামরাইয়ে ৩/৪ শত বছর ধরে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রায় বাড়িতে। রায় বাড়িরর গৃহবধু মিনু রায় মৌলিক জানান, প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ হয়েছে রংয়ের কাজও দুএক দিনের মধ্যেই শুরু হবে।

প্রতিবছরের মত জাকজমক পূর্ণভাবে এবারো পূজায় পাঠাবলী দেওয়া হবে বলে জানান মিনু রায় মৌলিক।

শিল্পী দীপংকর পাল ও নারায়ন পাল বলেন বাড়ির নিজস্ব পূজা শিল্পী কারিগর তারা নিজেই। আরো ছয়টি অর্ডার নিয়েছেন। তিনি বলেন, তিন জন সহকারীদের নিয়ে ৭ টি মূর্তি গড়ার কাজ হাতে নিয়েছেন । তিনি রংয়ের কাজ শুরু করেছেন। পুজা আগামী ৬ অক্টোবরের আগেই রং তুলির ও সাজ সজ্জার কাজ শেষ করতে পারবেন বলে জানান।

শিল্পী সনাতন পাল বলেন সারা বছরের রুটি রোজির আয়ও আসে এই শারদীয়া উৎসবের মূর্তি তৈরির শ্রমের মুজুরী থেকে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে জিনিষ পত্রের দাম রেড়ে যাওয়ায় তাদের এই আয়ে পোষায় না বলে জানান। একারনে তার পরিবারের আর কেউ একাজে আসবে না বলে জানান। বর্তামানে তাদের সন্তানরা এ পেশা ছেড়ে অন্যা পেশায় ঝুকছে।কর্মরত শিল্পীর আরো বলেন শারদীয়া উৎসবই সব চেয়ে বড় পূজা ,এবার তিনি ৬ টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছেন। প্রায় ৩ লাখ টাকা মজুরী পাবেন তিনি। আর এই আয় দিয়েই তার সাথের আরো তিন জন শিল্পী সারা বছর সংসার চলে কোন রকমে।

-ধামরাইয়ের উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন বলেন বাংলাদেশের উপজেলা গুলির মধ্যে ধামরাই উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মন্দিরে এ পূজার আয়োজন সব চেয়ে বেশী বলে দাবি তার। তিনি বলেন এবার ধামরাইয়ে ১৯২ টি দুর্গা মন্দিরে শারদীয়া উৎসবে আয়োজন হচ্ছে।

সকলেরই আশাবাদ বিগত দিনের মতোই এবারো অত্যন্ত শান্তি পূর্নভাবে সকল আয়োজন সম্পন্ন হবে। এবার উপজেলা ১৯২টি পূজার মধ্যে পৌর এলাকার বিভিন্ন মন্দিরে ৪২টিরও বেশী মন্দিরে পূজার আয়োজন রয়েছে। আর বাকি সব উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে।

(ডিসিপি/এএস/সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test