E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতক্ষীরায় পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন

২০১৬ সেপ্টেম্বর ৩০ ১৮:৫৯:৪৯
সাতক্ষীরায় পূজা উদযাপন পরিষদের মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় ব্যবহার করে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে  সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি গোলাম রসুল বিপ্লবের বিরুদ্ধে । তিনি প্রভাব খাটিয়ে তার বোনসহ অন্যদের মাধ্যমে ওই জমি দখল করে রেখেছেন । আইনগত নির্দেশ পেয়েও তিনি সে জমির দখল ছাড়ছেন না। উল্টো দখলকারীরা তাদের ভারতে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। 

শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন আশাশুনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন গোলাম রসুল বিপ্লব একজন মাদ্রাসা ছাত্র ছিলেন এবং সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতেন। কখনও তিনি ছাত্রলীগের সাধারণ সদস্যও ছিলেন না অথচ কিভাবে তিনি ঢাকায় যেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি হয়ে পড়েছেন তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করে তারা আরও বলেন তিনি নিজের পরিচয় খাটিয়ে আশাশুনি এলাকার হিন্দুদের জমি দখল করানো ছাড়াও নানা অপকর্ম করছেন। আগামি রবিবার তারা তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেবেন বলে ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে আরও জানানো হয় আশাশুনি উপজেলার সবদলপুর গ্রামের পরিমল রায় তার পৈত্রিক সূত্রে সাত একর ১৪ শতক জমি লাভ করেন।দীর্ঘকাল যাবত তিনি ওই জমিতে দখলে থাকলেও আশাশুনির কাদাকাটির রামচন্দ্রপুরের গোলাম রসুল বিপ্লব (বর্তমানে সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ) প্রভাব খাটিয়ে তা তার বোন আকলিমা খাতুন ও অন্যদের নামে বন্দোবস্ত করিয়ে নেন। পরিমল রায় এর বিরুদ্ধে আইন আদালত করে সর্বশেষ হাইকোর্ট থেকে ডিসিআর বাতিলের আদেশ লাভ করেন । কিন্তু তার মধ্যে হঠাৎ প্রভাব খাটিয়ে গোলাম রসুল বিপ্লব তার বোন আকলিমা, মিজানুর রহমান, হাফিজুল ইসলাম ও শংকর সরকারের পক্ষে জমি দখলে সহায়তা করেন।

তারা বলেন সুপ্রীম কোর্ট নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিল ঘোষণা করা সত্ত্বেও তারা পুরো জমি জবর দখল করে রেখেছেন। তারা জমির ঘেরা বেড়া দিয়েছেন এবং পরিমল রায়ের কেউ সেখানে গেলে খুন করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। গোলাম রসুল বিপ্লব ঢাকায় বসে কলকাটি নাড়ছেন উল্লেখ করে তারা বলেন তিনি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন ছাত্র শিবির নেতা গোলাম রসুল বিপ্লব ছাত্রলীগে একজন অনুপ্রবেশকারী। তারা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানান ।এ ব্যাপারে তারা জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

মানববন্ধনে বক্ততা করেন আশাশুনি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, সেক্রেটারি রনজিত বৈদ্য, অসীম চক্রবর্তী, গৌর পদ সরকার, পরিমল কুমার রায় রিক্তা রায় প্রমুখ।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সহ সভাপতি গোলাম রসুল বিপ্লব ছাত্রলীগ করতেন না এবং তিনি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন স্বীকার করলেও শিবিরের রাজনীতি করার বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন ‘আমি কোনো জমি দখল করিনি। তবে আমার বোনসহ এলাকার কিছু লোককে ওই জমি পাওয়ার ব্যাপারে কিছু সহযোগিতা করেছি মাত্র’।

(আরকে/এএস/সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test