E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সেনা সদস্যর পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্দ্রকারীকে প্রশ্রয়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

২০১৬ অক্টোবর ১৯ ১৭:৪৪:২৪
সেনা সদস্যর পরিবারকে উচ্ছেদের ষড়যন্দ্রকারীকে প্রশ্রয়ের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজার বাগানে এক সেনা কর্মকর্তার পরিবাবকে নিজ বাড়ি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে রাজার বাগান গ্রামের সার্জেন্ট রবিউল হাসানের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তাছলিমা খাতুন বলেন, কয়েকবছর পূর্বে রাজার বাগান এলাকায় ৫ কাঠা জমি কিনে তারা সেখানে দুই মেয়েসহ ৩ সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। মালিকের কাছ থেকে প্ল আকারে জমি কেনার কারণে চারিদিকে প্রাচীর দেওয়া রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি তাদের প্রতিবেশি মৃত ওলিউল রহমানের ছেলে রুহুল কুদ্দুসের কুনজর পড়ে তাদের জমির উপর। ওই জমির মধ্যে তার জমি রয়েছে বলে প্রচার দিয়ে রুহুল কুদ্দুস নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে।

এরই মধ্যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ১১ মে যশোর ক্যান্টনমেন্ট হাসপাতালে ভর্তি হন তাছলিমা খাতুন। সেখানে দীর্ঘ ১৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফিরে দেখেন কুদ্দুস একটি বিল্ডিং তৈরি করছেন। বিল্ডিং এর জানালা ও বীম রবিউল ইসলামের জমির মধ্যে। এবিষয়ে সাতক্ষীরা পৌরসভায় অভিযোগ দিলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এরই মধ্যে কুদ্দুস নির্মাণাধীন ভবনের নিচতলার দরজা তৈরি করে ফেলেন। উপায় না পেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেন তিনি। পুলিশ সুপার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাতে বিষয়টি সমাধানের নিদের্শ দেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ মাহমুদ পাপাকে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু কাউন্সিলর পাপা বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেন। অপরদিকে কুদ্দুস দ্রুতগতিতে তার বিল্ডিং এর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিল্ডিংয়ের প্রস্রাব পায়খানার চেম্বার, ছাদের পানির লাইন সব তাদের জমির মধ্যে। তাছলিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলর পাপা কুদ্দুসের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা নিয়ে ভোট করেন। এজন্য এখন তিনি কুদ্দুসকে কিছু বলতে পারছেন না। তার অভিযোগ, ক্রয়কৃত ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদের জন্য কুদ্দুস তাদের বাড়ির মধ্যে ছেলেদের হোস্টেল করছে। তিনি বলেন, তার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। সেখানে ছেলেদের হোস্টেল হলে মেয়েদের নিয়ে তিনি কিভাবে থাকবেন।

তিনি বলেন, কুদ্দুস প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলছে ৫ লক্ষ টাকা দিচ্ছি বাড়ি ছেড়ে চলে যাও। অথচ ওই জমি ২০১০ সালে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে ক্রয় করা, এখন যার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা। তিনি বলেন, কাউন্সিলর পাপাকে পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিলম্ব করছেন।

এ ব্যাপারে তিনি কুদ্দুুসের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ১৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test