E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ১২৫ কোটি টাকার বাধ

২০১৬ অক্টোবর ২৬ ১৬:৪২:২৬
যমুনা নদীতে বালু উত্তোলন, হুমকির মুখে ১২৫ কোটি টাকার বাধ

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার আটাপাড়া ও কুকুড়িয়া নামকস্থানে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাধসহ নাগরপুর, টাঙ্গাইল সদর ও চৌহালী উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের আবাদি জমি, ঘর-বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়েছে। বেড়িবাধের পাশে যমুনা নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বালু ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

স্থানীয়রা জানান, নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের আটাপাড়া, মারমা, ধলাই, শাহজানী, টাঙ্গাইলের সদরের মাহমুদনগর ইউনিয়নের কুকুড়িয়া, মাইঝাইল, হরিপুর, নয়াপাড়া ও চৌহালী উপজেলার একাধিক গ্রামের জনসাধারণ যমুনা নদীর তীরবর্তি এলাকার মানুষ পারিপার্শ্বিক কারণেই অসহায় ভাবে জীবন যাপন করে আসছে। তিনটি উপজেলার প্রায় ২৫টি গ্রামের আবাদি জমি, ঘরবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার্থে বর্তমান সরকার ১২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে বেড়িবাঁধ নির্মান করেছে। কিন্তু ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে যে কোন সময় বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে পার্শ্ববর্তি এলাকা প্লাবিত হতে পারে।

কুকুড়িয়া গ্রামের এমদাদুল ও মারমা গ্রামের মো. রনজু তালুকদার এরা দুই গ্রুপ জরিত হয়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যমুনা নদীর আটাপাড়া ও কুকুড়িয়া নামকস্থানে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বিশাল দুটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। বালু উত্তোলনের কারণে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বেড়িবাঁধসহ ওই সব এলাকায় নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বালু বিক্রেতা এমাদাদুল ও রনজু তালুকদার এলাকার প্রভাবশালী বিধায় কেউ এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।

যমুনা তীরবর্তি গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও ভূক্তভোগিরা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করা সত্যেও তারা পৃথক পৃথক বিশাল দুটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এমদাদুল গ্রুপ ও রনজু গ্রুপের লোকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনা নিয়ে এলাকায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে মুহুর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে। বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে ও অসাধূ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছেন এলাকাবাসীর পক্ষে আটাপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক মাস্টার।

ভারড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তি এলাকার কয়েকটি গ্রামের জমিজমা ও ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে, বাকী গ্রামগুলো ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষার্থে ১২৫ কোটি টাকা ব্যয় করে বেড়িবাঁধ নির্মান করা হয়েছে। ওই এলাকা কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি দুটি ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহীদ ইলাহির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, যমুনা নদীর তীরবর্তি এলাকায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তদন্তসাপেক্ষে অসাধু বাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরএসআর/এএস/অক্টোবর ২৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test