E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাগরপুরে আবাদি জমি বিনষ্ট করে অবৈধভাবে ১০টি ইটভাটা স্থাপন

২০১৬ নভেম্বর ১১ ১৭:৩৩:৫৫
নাগরপুরে আবাদি জমি বিনষ্ট করে অবৈধভাবে ১০টি ইটভাটা স্থাপন

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে নাগরপুরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আবাদি জমি বিনষ্ট করে ও কাঠবাগানের পাশে অবৈধভাবে ১০টি ইটভাটা স্থাপন করেছে প্রভাবশালীরা। আবাদি জমি ও সরকারি জায়গা দখল করে এবং কাঠবাগানের পাশে ইটভাটা কার্যক্রম চললেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

স্থানীয় পরিবেশ সচেতন মহলের মতে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন। আবাদি জমির মাটি কেটে ভাটার মাটি সংগ্রহ ও জ্বালানি হিসেবে বনজ সম্পদ উজাড়ের কারণে নাগরপুরে ভাটপাড়া গ্রামে খোরশেদ মার্কেট নামকস্থানে অবৈধভাবে নতুন দুটি ইটভাটা গড়ে উঠায় উপজেলা বিভিন্ন গ্রামগুলোতে জীব-বৈচিত্র ও জনবসত হুমকির সম্মুখিন। ইটভাটা সংলগ্ন গ্রামের ভাটপাড়া বীরসলিল, নলসন্ধ্যা, ডাংগা, দুয়াজানী, বেকড়া, বনগ্রাম, গয়হাটা, পাকুটিয়া, আগতারাইলের জনসাধারন ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করলেও এ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। উপজেলার খোরশেদ মার্কেট সংলগ্ন আবাদি জমিতে এবং কাঠবাগানের পাশে এ.টিএম ব্রিকস ও রাবিয়া ব্রিকস নামে অবৈধভাবে নতুন দুটি ইটভাটা গড়ে তোলেছে। কোন বৈধ অনুমতি ছাড়াই ভাটপাড়া মৌজায় অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করেছে। ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী বিধায় এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না।

একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, ভাটার মালিকরা প্রথমে কম জায়গা নিয়ে ইটভাটা নির্মান করা হলেও ধীরে ধীরে আবাদি জমি দখল করে পরিধি আরো বাড়ানো হচ্ছে। স্থানীয় জনসাধারনের দেয়া তথ্যমতে প্রশাসনিক তদারকির কারনে নাগরপুরে খোরশেদ মার্কেট নামকস্থানে আরো দুটি নতুন ইটভাটাসহ ১০টি ইটভাটা স্থাপনের জোনে পরিণত হয়েছে। খোরশেদ মার্কেট, দুয়াজানী, বনগ্রাম, পাকুটিয়া, আগতারাইল, ডাংগা, মীরনগর ও বেকড়া নামকস্থানে উপজেলার সিন্ডিকেট ইট ব্যবসায়ীগণ সরকারের অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে দুটি ইটভাটাসহ ১০টি ইট ভাটা স্থাপন করেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রোকনুজ্জামান বলেন, ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কারনে স্থানীয় গ্রামবাসীর জনসাধারণের মাঝে শ্বাসকষ্ট প্রদাহ জনিত রোগ, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবেশের এই বিরুপ প্রভাব রোধ করা না হলে নাগরপুরের জনসাধান আরো জটিল রোগে আক্রান্ত হবে। কাঠ বাগান ও ফলদ বাগানের ফলদ কমে যাবে এবং বাগানগুলো বিনষ্ট হয়ে যাবে।

এম বি বিক্্েরর মালিক মো. বাবুল দেওয়ান বলেন, স্থানীয় ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অধিকাংশ জমি লীজ বা ক্রয় করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইটভাটা করা হয়েছে। এবং জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি ক্রয় করে ইটভাটায় সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে জমির মালিকগনরা লাভবান হচ্ছেন।

উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের মো. লিয়াকত হোসেন জানান, খোরশেদ মার্কেট নামকস্থানে ভাটপাড়া মৌজায় আবাদি জমি বিনষ্ট করে ও কাঠবাগানের পাশে নতুন করে রাবিয়া বিকর্্্রস ও এ.টি.এম বিকর্্্রস ইটভাটাসহ ৩টি ইটভাটা নির্মাণ করেছে প্রভাবশালীরা। এদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। এরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আবাদি জমির উপর অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করায় জনবসতি হুমকির সম্মুখিন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদ ইলাহী বলেন, নাগরপুরের খোরশেদ মার্কেট সংলগ্ন নতুন দুটি ইটভাটা স্থাপনসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেেক্ষ অচিরেই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরএসআর/এএস/নভেম্বর ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test