E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

২০১৬ নভেম্বর ১৫ ১৭:২১:০৮
বাগেরহাটে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা, আতঙ্কিত এলাকাবাসী

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বগী নতুন গেট সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৩৫/১ পোল্ডারের প্রায় ৩০০ মিটার বেড়ি বাধসহ ১০ একর ভূমি বলেশ্বর নদীতে ধসে পড়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৮শত কোটি টাকা ব্যায়ে টেকসই বেড়ি বাধ নির্মানের কাজ চলার মধ্যেই সোমবার সন্ধ্যায় আকষ্মিকভাবে এ বাধ ও ভূমি ধসের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ এ ধসের খবরে পাঁচটি গ্রামের মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এলাকার শত শত আতঙ্কিত নারী-পুরুষ তা দেখার জন্য ছুটে আসেন সেখানে।

এদিকে, বাধ ধসের পর ওই রাত থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়নার ‘হেন্নান ক্যাস্টল ওয়াটার ইমব্যাংকমেন্ট’ (এইচসিডাব্লিউই) কোম্পানি বলেশ্বর নদীর জোয়ার ঠেকাতে স্ক্যাবেটর মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ইমারজেন্সী রিং বেড়িবাধ নির্মান কাজ শুরু করেছে। এছাড়া মাটির বস্তা ডাম্পিং করে তা রক্ষার চেষ্টা চলছে।

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রায় ৮শত কোটি টাকা ব্যায়ে টেকসই বেড়ি বাধ নির্মাণ কাজ চলার মধ্যেই এমন ধসের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বলেশ্বরের প্রবল জোয়ারে ওই ইউনিয়নের বগী, চালিতাবুনিয়া, দক্ষিণ সাউথখালী, বুকলতলা, খূড়িয়াখালীসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বলেশ্বর নদের জোয়ারে ভেসে য়াবে ওই গ্রামগুলোর শত শত ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর এবং হাজার হাজার একর জমির আমন ফসল।

প্রত্যক্ষদর্শী বগী গ্রামের শাহজাহান হাওলাদার, দেলোয়ার খলিফা, আ. রাজ্জাক, বাবুল হাওলাদার, হানিফ মুন্সীসহ অনেকেইে বলেন, আমরা সন্ধ্যায় চায়না কোম্পানির বাধ নির্মাণের কাজ দেখছিলাম। এ সময় হঠাৎ করেই বাধের বিশাল বিশাল অংশ নদীতে ধসে যেতে থাকে। মূহুর্তের মধ্যে প্রায় ৩০০ মিটার বাধ এবং ১০ একরেরও বেশি জমি নদীতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে ফসলি জমির সাথে মিশে যায়। এমন ধস আমরা আগে কখনো দেখিনি। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে আরো বলেন, দ্রুত টেকসই ব্যবস্থা না নিলে বলেশ্বরের জোয়ারে ক্ষেতের পাকা আমন ধান, ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর সবই ভেসে যাবে।

বগী ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রিয়াদুল পঞ্চায়েত বলেন, এমন ভয়াবহ বাধ ধস আমাদের এলাকায় এই প্রথম দেখলাম। প্রলয়ঙ্করী সিডরেও এমন ধসের ঘটনা ঘটেনি। বাধ ধস সাউথখালীর মানুষের মনে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, নদী শাসন না করেই চায়না কোম্পানি বাধ নির্মান কাজ শুরু করেছে। এতে বাধ টেকসই হবে কি না সে আশঙ্কা দিয়েছে।

এইচ.সি.ডাব্লিউ.ই নামের চায়না কোম্পানির সাইট সুপারভাইজার শেখ মোজাহেদ বলেন, পাশেই আমাদের কাজ চলছে। এমন সময় হঠাৎ করেই প্রায় ৩০০ মিটার বাধ ধসে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এলাকার যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য তাৎক্ষণিক রিং বেড়ি দেওয়া হয়েছে। ভয়াবহতা ঠেকাতে মাটির বস্তা ডাম্পিং করা হচ্ছে।

(একে/এএস/নভেম্বর ১৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test