E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পানগুছি নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে সড়ক বিলীন, গন্তব্যে যেতে ঘুরতে হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার

২০১৬ ডিসেম্বর ০৫ ১৭:৪১:৫৪
পানগুছি নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে সড়ক বিলীন, গন্তব্যে যেতে ঘুরতে হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলার সংযোগ সড়কের খাউলিয়া এলাকায় পানগুছি নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়ক নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে। যে পাকা সড়ক দিয়ে কিছুদিন আগেও চলতো যানবাহন, আজ সেই পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে নৌকা আর ট্রলারে করে। দুটি উপজেলা সংযোগ সড়ক ব্যবহারকারীদের এখন গন্তব্যে যেতে হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে।

পানগুছি নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা উপজেলার সংযোগ সড়কের খাউলিয়া এলাকার প্রায় ১ কিলোমিটার পাকা সড়কসহ নদী গর্ভে বিলীন অনেক বসতবাড়ি। ফলে মোড়েলগঞ্জের উপজেলার সন্ন্যাসী, খাউলিয়া, বানিয়াখালীসহ শরণখোলা উপজেলার সাথে এই সংযোগ সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ কারনে ১ কিরোমিটার সড়ক পথ নদী গর্ভে হারিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধীক মানুষ। আর এই ১ কিলোমিটার সড়ক পথ না থাকায় দু’ উপজেলার দুই লক্ষাধীক মানুষকে যানবাহন নিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে।

পানগুছি নদী ভাঙ্গনে সদ্য বিলীন হওয়া সড়কের পাশে দাড়িয়ে আবুল হাসেমের (৭৬) বলেন, এই সংযোগ সড়ক দিয়াই চলছে বড় বড় গাড়ি, ট্রাক। এখন আমাদের গন্তব্যে যেতে ১ কিলোমিটারের পথ ঘুরতে হচ্ছে ৪০ কিলোমিটার। এখন সড়ক না থাকায় ঢাকা থেকে আসা স্টিমার সার্ভিসের যাত্রিরা সন্ন্যাসী র্টামিনালে নেমে সড়ক না থাকায় বিড়াম্বনায় পড়ছেন। গাবতলা গ্রামের আব্দুল গফ্ফার তালুকদার জানান, পানগুছির ভাঙ্গনে গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকার বহু বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। বহু মানুষকে নিঃস্ব করেছে এই পানগুছি। আকস্মিক ভাঙ্গনের পর এবার অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। দিনে দিনে এই ভাঙ্গন আরো তীব্র হচ্ছে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান জানান, পানগুছি নদীর আকস্মিক ভাঙ্গনে জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক একটি অংশ পুরোপুরি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। জনগুরুত্বের কথা বিবেচনা করে বিকল্প আরেকটি রাস্তা দিয়ে মানুষ চলাচলের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে। দ্রুত এই পথটি চলাচল উপযুগী করার চেষ্টা চলছে। পানগুছি নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী একটি বেড়ি বাধেঁর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার জানান, পানগুছি নদীর ভাঙ্গন রোধে একটি প্রকল্প জরুরী অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাশ হলে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হবে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test