E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে কৃষক ও ভূমি মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

২০১৬ ডিসেম্বর ১৪ ১৭:৪০:৩০
বাগেরহাটে কৃষক ও ভূমি মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩৫/১ পোল্ডারের ভেঙ্গে যাওয়া পুরাতন বেড়ি বাঁধসংলগ্ন নতুন করে বাধঁ র্নিমানে ভূমিমালিক ও কৃষকদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে বাধ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়নার এইচসিডব্লিউই। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি জোর করে রায়েন্দা ইউনিয়নের জিলবুনিয়া এলাকায় নির্মাণ শুরু করায় ওই এলাকার অর্ধশতাধিক কৃষকের সদ্য রোপণকৃত কয়েকশ’ একর আলু ক্ষেতসহ অন্যান্য রবি শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ভূমি মালিকরা ক্ষতিপূরণ দাবি করে শরণখোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও ভূমিমালিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুর রহমান ফকির। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর শরণখোলাবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ। এ নিয়ে বহু আন্দোলন সংগ্রামও হয়েছে। কিন্তু সিডরের ৯ বছর পর সেই কাঙ্খিত বাঁধ নির্মাণ শুরু হলেও সাধারণ মানুষ তাদের জমির ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেনা। এমনকি কোনোরকম অধিগ্রহন ও ক্ষতিপূরণ না মিটিয়েই জোর করে ব্যক্তি মালিকানা জমি থেকে মাটি নেওয়া হচ্ছে। শত শত একর জমির ফসল নষ্ট করা হচ্ছে। এতে বাধা দিতে গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সাধারণ মানুষের নামে মামলার হুমকি দিচ্ছে। টেসকই বেড়িবাঁধ হোক এটা সাবই চায়। কিন্তু বাঁধের পাশে ভূমিহীন পারবার ও রেকর্ডীয় জমির মালিকদের ক্ষতিপূণ দেওয়া হলে এলাকাবাসী বঁধ নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করবে। তা না হলে কঠোর আন্দোরনে যাবেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

অপরদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তারা মৌখিক ভাবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে প্রকল্প এলাকায় কাজ করছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তবে ক্ষতিগ্রস্ত, ভূমিহীন ও জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test