E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে দর্জি নিখিল হত্যার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত

২০১৭ মার্চ ০৩ ১৬:৩৪:৪১
টাঙ্গাইলে দর্জি নিখিল হত্যার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের(জেএমবি) জঙ্গিদের হামলায় নিহত দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দার(৫০) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করেছে পুলিশ। খুব শিগগিরই তা আদালতে পেশ করা হবে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অশোক কুমার সিংহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত বছরের ৩০ এপ্রিল গোপালপুর পৌরসভার ডুবাইল বাজারে মোটরসাইকেলে আসা তিন তরুণ দর্জি নিখিল চন্দ্র জোয়ার্দারকে দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার দিনই নিখিলের স্ত্রী আরতি জোয়ার্দার অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেএমবি’র গ্রেপ্তার হওয়া সদস্য মোসলেম ওরফে সুমন, পলাতক সদস্য মতিয়ার ওরফে হৃদয় এবং তাঁদেরকে বাড়ি ভাড়া দেওয়ায় বাড়ির মালিক টাঙ্গাইলের উপ-শহর এলেঙ্গার নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হচ্ছে।

এ মামলার অন্য আসামি নজরুল ওরফে বাইক হাসান রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে এক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়া উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও আলমনগর আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক আমিনুল ইসলামসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ বলেন, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ এই মামলায় জড়িত সন্দেহে গোপালপুরের শাখারিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল গণির ছেলে জেএমবি সদস্য মোসলেম ওরফে সুমনকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তিনি আদালতে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মোসলেম জবানবন্দিতে বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করার কারণে দর্জি নিখিলকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। জেএমবি সদস্য মোসলেম তাঁর দুই সঙ্গী সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মতিয়ার ওরফে হৃদয় এবং পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসানকে নিয়ে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভায় একটি বাসা ভাড়া নেন। তাঁরা সেখান থেকেই ডুবাইল গিয়ে নিখিলের বাড়ি ও দোকান পর্যবেক্ষণ করেন এবং পরে পরিকল্পনা অনুসারে হত্যা করেন।

ওসি অশোক কুমার সিংহ আরো বলেন, মামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।

(আরকেপি/এএস/মার্চ ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test