প্রধান শিক্ষকের হ্যাঁ, নির্বাহী কর্মকর্তার না!

দেবাশীষ বিশ্বাস, বালিয়াকান্দি : রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সরিয়ে সেখানে দোকান নির্মাণ করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করেই বিদ্যালয়ের স্থানান্তর করা হয়েছে কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন বিদ্যালয় স্থানান্তরের ব্যাপারে আমাদের কোন ধরনের অনুমতি ছিল না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বহরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয় পাশাপাশি অবস্থান করায় এলাকার প্রভাবশালী ও বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ খলিলুল রহমানের যোগসাজসে বিদ্যালয় স্থানান্তর করে দোকান নির্মান করছেন।

মোঃ খলিলুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বহরপুরের উন্নয়নের জন্য তিনি এই কাজগুলো করছেন। তিনি জানান এই বিদ্যালয়ের গাছ দিয়ে বহরপুরের তিনিটি প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন করা হবে।

ঠিক কতগুলো গাছ কাটা হয়েছে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য দিতে পারেন নাই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি বড় মেহগনি গাছ কর্তন করা হয়েছে।

বাণিজ্যিক ভবন নির্মানে ব্যায় সম্পর্কে বহরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ শেখ জানান, এই ভবন নির্মান করা হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ ধার-দেনা করে। তিনি আরো জানান, ১৮টি দোকান ঘর নির্মানের জন্য দোকান নিতে আগ্রহীদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, নিয়ম বর্হিভুত ভাবে একটি সরকারী প্রতিষ্ঠন সড়িয়ে দোকান নির্মানের ব্যাপারে ১৬ ফেব্রুয়ারী মাসিক সভায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমির উপর নির্মিত বানিজ্যিক ভবন উচ্ছেদের নির্দেশে দেওয়া হয়েছে।

(ডিবি/এসপি/মার্চ ১২, ২০১৭)