E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এমপি রানার অভিযোগ গঠনের শুনানি ষষ্ঠবারের মতো পেছাল

২০১৭ এপ্রিল ২৪ ১৭:৩৬:২৩
এমপি রানার অভিযোগ গঠনের শুনানি ষষ্ঠবারের মতো পেছাল

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আবার পিছিয়েছে। এ নিয়ে মামলাটির অভিযোগ গঠনের শুনানি ষষ্ঠবারের মতো পেছাল। মামলাটির প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় সোমবার অভিযোগ গঠনের শুনানি হয়নি। এর আগেও একই কারণে পাঁচবার অভিযোগ গঠনের তারিখ থাকলেও অভিযোগ গঠন হয়নি।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌশুশী মনিরুল ইসলাম খান জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১-এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে শুনানি গঠনের তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ আদালতকে জানিয়েছে, সংসদ সদস্য আমানুর রহমান রানা অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বুকে ব্যাথা ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। চিকিৎসকরা তাকে বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই তাঁকে সোমবার আদালতে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১২ জুন নতুন তারিখ দিয়েছেন।

২২ মাস পলাতক থাকার পর সাংসদ আমানুর গত ১৮ সেপ্টেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। এর আগে ২০১৬ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ও ৯ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি, ১৫ ফেব্রুয়ারি ও ১৫ মার্চ তাঁকে আদালতে হাজির করতে না পারায় এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পেছানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাসার সামনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। এর তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলাটির তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে সন্দেহভাজন হিসেবে আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর অপর তিন টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে রানা ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে যান।

(এমএনআই/এএস/এপ্রিল ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test