E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালথায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

২০১৭ এপ্রিল ২৯ ১৪:৩১:৫২
সালথায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বলøভদি ইউনিয়নের বাউষখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান সাহিদ এর বিরুদ্ধে এক ছাত্রের জেএসসি সনদ জালিয়াতি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বাউষখালী গ্রামের সরোয়ার খানের ছেলে পলিন খান বাউষখালী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১০ ইং সালে জে.এস.সি পাশ করেন। যাহার রেজি: নং ১০১০৭৬৪৮২৭ এবং রোল নং ৩৬৪৮৬৬। পলিন খান ১.৪৩ পেয়ে উক্ত বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে ২০১৩ সালে এস.এস.সি পাশ করেন।

পরবর্তীতে মোকসুদপুর কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ২০১০ সালে অত্র বিদ্যালয় থেকে যারা জে.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে মূল সনদ বিতরণ করেন প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান সাহিদ। এসময় পলিন খান তার মুল সনদপত্র চাইলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ঘুরাইয়া আসিতেছে।

পরিশেষে অনলাইনে রোল নাম্বার ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে সার্চ দিলে পলিন খানের নামের পরিবর্তে একই গ্রামের সাব্বির খান, পিতা সুলতান খান ও মাতা পারভিন আক্তারের নামে মার্কসিট দেখা যায়।

পলিন খান সাংবাদিকদের জানান, প্রকৃত পক্ষে সাব্বির খান কোন প্রাইমারী বা উচ্চ বিদ্যালয়ে কোন দিন লেখা পড়া করেনি। প্রধান শিক্ষক চতুরতার সাথে বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে আমার নামের পরিবর্তে সাব্বির খানের নামে ভূয়া সনদ তৈরি করে দিয়েছেন। এঘটনায় পলিন খানের ভাই হেমায়েত খান বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান সাহিদের বিরুদ্ধে মহা পরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসক ফরিদপুর ও সালথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর মূল সনদ জালিয়াতি করার অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুজ্জামান সাহিদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার কাছে পলিন খানের নামেই সনদপত্র আছে। সাব্বির খান কোন দিন বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করেনি, এটা বোর্ডে থেকে ভূল হতে পারে।

অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে কারো ব্যাক্তিগত অপরাধের দায়ভার বিদ্যালয় নিবে না।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিনয় কুমার চাকী বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ মোবাশ্বের হাসান বলেন, এব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ২৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test