E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘জঙ্গি হামলায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু দুর্ভাগ্য’

২০১৭ মে ১৫ ১১:৪৫:২৪
‘জঙ্গি হামলায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু দুর্ভাগ্য’

রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরের জঙ্গি হামলায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আব্দুল মতিনের মৃত্যু এবং পুলিশ সদস্যদের হতাহতের ঘটনা নিছক ‘দুর্ভাগ্য’ বলে মনে করছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, সর্বোচ্চ সতর্কতার মধ্যদিয়েই ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করা হয়। জঙ্গি হামলায় হতাহতের ঘটনা নিছক ‘দুর্ভাগ্য’ ও ‘অপারেশনাল দুর্ঘটনা’ ছাড়া আর কিছু না।

ঘটনার চারদিন পর রোববার রাতে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোয়াজ্জেম হোসেন ভুঁঞা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলেছেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সুমিত চৌধুরী ওই মেইল বার্তা পাঠান।

এতে বলা হয়, আত্মঘাতী জঙ্গিদের তীব্র অতর্কিত হামলার মুখেও পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা, দৃঢ়তা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করেছে। এজন্য জঙ্গিরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর হামলে পড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তাদের নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি কৌশলে এক নারী জঙ্গি ও তার দুই শিশু সন্তানকে করায়ত্ত করা সম্ভব হয়েছে।

অভিযানে পুলিশ কোনো রকম গাফিলতি করেনি উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পুলিশ সদস্যরা সব সময় আত্মরক্ষার চেয়ে তার সহকর্মী ও তাদের জীবন রক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের ওপর অর্পিত রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে। অপারেশন ‘সান ডেভিলের’ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এ জন্যই অপারেশন সফল হয়েছে। তা না হলে হতাহতের ঘটনা আরও বাড়ার আশঙ্কা ছিল।

অভিযানে পুলিশের গাফিলতিতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী আব্দুুল মতিনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই বক্তব্য দেওয়া হলো। ফায়ারম্যান মতিনের মৃত্যুতে পুলিশের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে ১০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হবে উল্লেখ করে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মতিনের মৃত্যুতে পুলিশও সমব্যাথি। মতিনের মৃত্যুতে পুলিশ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে।

পুলিশ সদর দফতরের লফুল ইন্টারসেপশন সেলের (এলআইসি) তথ্যর ভিত্তিতে গত বুধবার মধ্যরাত থেকে হাবাসপুরের মাছমারা বেনীপুরের ওই ওই জঙ্গি আস্তানা ঘিরে রাখে পুলিশ। পরিদন সকালে সেখানে অভিযান চালায় জেলা পুলিশ। অভিযানের শুরুতেই ‘জঙ্গি বাড়ির’ সদস্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।

কিন্তু জঙ্গিরা এতে সাড়া না দেয়ায় পুলিশ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এনে পানি ছিটিয়ে বাড়ির একপাশের মাটির দেয়াল ধসিয়ে দেয়ার তৎপরতা শুরু করে।

এ সময় ভেতরের জঙ্গিরা বের হয়ে এসে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ফায়ার সার্ভিস কর্মী মতিনের মৃত্যু হয়। আহত হন পুলিশের চার সদস্য। এরপর আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণে মারা যান এক পরিবারের চার সদস্যসহ পাঁচ জঙ্গি।

(ওএস/এসপি/মে ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test