E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট: ২৬ পদে আছে ৫!

২০১৭ জুন ০৫ ১৪:৫৬:১০
মিরপুর হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট: ২৬ পদে আছে ৫!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ছাব্বিশ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৫ জন চিকিৎসক। সরেজমিনে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে এমন চিত্রটিই দেখা গেছে। এ কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেপুটেশনে রয়েছেন।

সরকারী নিয়ম অনুযায়ী ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইউএইচএ, আরএমও সহ ১৪ জন চিকিৎসক ও ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১২ জনসহ মোট ২৬ জন চিকিৎসক থাকার কথা। এরমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১৪ জনের মধ্যে ইউএইচএ, আরএমওসহ আছেন মাত্র ৫ জন চিকিৎসক। ৯ জন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে ডেপুটেশনে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে কর্মরত।

অন্যদিকে ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ১২টির মধ্যে ৬টি পদ শুন্য, বাকী ৬টির মধ্যে ৫টি রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে ডেপুটেশনে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে কর্মরত। অর্থ্যাৎ ২৬ পদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ১৪ জন আছেন ডেপুটেশনে। ডেপুটেশনে থাকা চিকিৎসকরা হলেন, জুনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিওলজি ডাঃ বসির উদ্দিন, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামীমা আক্তার, ইনডোর মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ কামরুন নাহার, ডাঃ নুর-এ-নাসরীন, ডাঃ নাজনীন হাবিব, বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ অনামিকা অধিকারী, কুর্শা ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ আনিছুর রহমান, আমবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ তামিমা আফরোজ, মালিহাদ ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ শামীম আরা বেগম, বারুইপাড়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সহকারী সার্জন ডাঃ এ জে এম মুছাদ্দেক রেজা।

বছরের পর বছর ওই সকল চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আদেশে ডেপুটেশনে থাকলেও ডেপুটেশনবাতিল করে স্ব-স্ব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনার কোন উদ্যোগ নাই।

নারী ও শিশু বান্ধব বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন থাকার পরও এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অর্ধযুগ ধরে গাইনী ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞর পোষ্টিং নাই।

চিকিৎসক সংকটের কারণে সাড়ে তিন লক্ষ্য জনসংখ্যার এ উপজেলার সরকারী স্বাস্থ্য সেবার এ প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসা সেবা রীতিমত ভেঙ্গে পড়েছে। চিকিৎসক সংকটের কারনে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুর রাকিব, মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মাসুদুল হাসান ও ডেন্টাল সার্জন ডাঃ এস এম সাজ্জাদুল ইসলাম এই তিন জনকে দিয়ে রাত্রীকালীন জরুরী সেবা প্রদান করতে হচ্ছে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র এ্যাম্বুলেন্সটি ৬ মাস আগে নষ্ট হয়ে গেলেও নতুন কোন এ্যাম্বুলেন্স সংযুক্ত করা হয়নি।

এ বিষয়ে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সেলিম হোসেন ফরাজী জানান, চিকিৎসক সংকটের ব্যাপারে মিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানূল হক ইনু ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউএনকে জানানো হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নাজমুল ইসলাম জানান, ডাক্তার সংকটের কারনে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রচন্ড গরমে শিশু রোগির সংখ্যা বাড়ছে। আমরা পর্যাপ্ত ডাক্তারের ব্যবস্থা করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যতদিন ডাক্তার পর্যাপ্ত না পাওয়া যায় ততদিন এভাবেই চলবে।


(কেকে/এসপি/জুন ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test