E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

শেরপুরে বন্যহাতির তাণ্ডবে বন কর্মকর্তার অফিসসহ বাড়ি-ঘর ভাংচুর

২০১৪ জুন ২৩ ১৮:৩০:৪১
শেরপুরে বন্যহাতির তাণ্ডবে বন কর্মকর্তার অফিসসহ বাড়ি-ঘর ভাংচুর

শেরপুর প্রতিনিধি : বন্যহাতির তাণ্ডব যেন কিছুতেই থামছে না। মশাল, ডাক-ঢোল, পটকা এসব আর কোন কাজেই আসছে না সীমান্তবাসীর। ফলে অত্যাচার আর ক্ষয়-ক্ষতির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ২৩ জুন সোমবার ভোরেও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারত সীমান্তঘেঁষা মায়াঘাসি পাহাড়ি পল্লীতে হামলা চালিয়ে গোপালপুর বিট অফিসসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে বন্যহাতির দল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত দুইদিন যাবত প্রায় ৩৫/৪০ টি বন্যহাতির একটি দল নালিতাবাড়ীর তারানি, পানিহাটা ও মায়াঘাসি গ্রামে প্রবেশ করছে। এসময় মাঠে কোন ফসল না থাকায় বন্যহাতির দল কাঁঠাল খেতে বসতবাড়িতে হানা দিচ্ছে। এতে বসতঘর ধ্বংসের পাশাপাশি বিনষ্ট করছে বাড়ির গাছপালা। উপড়ে ফেলে দিচ্ছে পানির টিউবওয়েল। তারানি গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেব আলী জানান, গত রবিবার ভোরে তারানি গ্রামের বিধবা সজলা মানকিন ও মন্নাফ আলীর বসতঘর ভেঙ্গে তছনছ করে এবং অসিমের বাড়ির গাছপালা এবং টিউবওয়েল উপরে ফেলে বন্যহাতি। মায়াঘাসি গ্রামের আব্দুল কাদির (৫৫) জানান, সোমবার ভোরে বন্যহাতি হানা দিয়ে তাদের গ্রামের ৩ জনের বসতঘর ও স্থানীয় গোপালপুর বিট কর্মকর্তার কার্যালয় ভাংচুর করে। পানিহাটা গামের কাদির মিয়া (২৫) বলেন, মায়াঘাসি গ্রামে হানা দিয়ে বেশকিছু বাড়ির কাঁঠাল গাছ ও অন্যান্য গাছপালা তছনছ করে অন্তত ৫টি ঘর ভাংচুর করেছে বন্য হাতির দল।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, চলতি বছর কয়েক দফায় বন্যহাতি তাদের এলাকায় হামলা চালিয়ে বসতঘর, উঠতি ধান ক্ষেত ও গাছপালা ধ্বংস করলেও এখনও পর্যন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোন সাহায্য সহযোগিতা তারা পাননি। তারা আরও জানান, আগে মশাল জ্বেলে ডাক-ঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানো যেত। কিন্তু এখন একমাত্র ভরসা পটকা ফুটানো। এখানে পটকাও কিনতে পাওয়া যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ভারতে বৈধপথে যাতায়াতকারীদের মাধ্যমে সেখান থেকে কিনে আনা হয়। যেখানে ভাত যোগানোই দায়, সেখানে আবার পটকা কিনে ও রাত জেগে পাহাড়া দিয়ে এখন তারা হাঁপিয়ে উঠেছেন। এদিকে, বর্ষা মৌসুম হওয়ার কারনে বৃষ্টি ও পাহাড়ী চিনা জোঁক ধরায় গ্রামবাসীদের বন্যহাতি তাড়াতে এখন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় রামচন্দ্রকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ বাদশা জানান, গত কয়েকদিন যাবত এ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী তিনটি গ্রামে বন্যহাতি হামলা চালিয়ে আসছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কোন সাহায্য সহযোগিতা এখনও কেউ দেয়নি। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবা আইরিন বলেন, বন্যহাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সাহায্যের পরিমান অনেক কম। তবুও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর জন্য খুব দ্রুত ক্ষতিপুরনের ব্যাবস্থা করা হবে।
(এইচবি/এএস/জুন ২৩, ২০১৪)


পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test