E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বড়লেখায় কুয়া থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

২০১৭ জুলাই ২০ ২০:৩৬:২৩
বড়লেখায় কুয়া থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কুয়া থেকে মারজান আহমদ (৩) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মারজান উপজেলার দক্ষিণ ভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পূর্ব দোহালিয়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ১ম স্ত্রীর ঘরের সন্তান। গত বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন একটি কুয়ায় শিশুটিকে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

এদিকে শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) দুপুরে শিশুটির আপন মা ও সৎ মাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মৌলভীবাজার এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

থানা পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত আনুমানিক ৮টার দিকে শিশু মারজান আহমদকে তার মা বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে পাশের ঘরে মাছ কাটতে যান। কিছুক্ষণ পরে ঘরে ফিরে শিশু মারজানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজতে থাকেন ও বিষয়টি স্বামী মোবাইল ফোনে জানান। খোঁজাখুজির একপর্যায়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারজানকে ঘর থেকে আনুমানি একশত ফুট দূরের একটি কুয়ায় পাওয়া যায়। পরে বাড়ির লোকজনের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার ডা. শারমিন আক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।

এরপর শিশুটির লাশ নিয়ে পরিবারের লোকজন বাড়িতে চলে যান। কিন্তু শিশুটির কুয়ায় ডুবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে স্থানীয়দের মনে সন্দেহ দেখা দিলে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। এরপর শিশুটির মৃত্যুর বিষয়ে আপন মা ও সৎ মাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দেবদুলাল ধর বলেন, ‘শিশুটির ঘরে আপন মা ও সৎ মা রয়েছেন। ঘটনার দিন দুই মায়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। শিশুটি মারা যাবার বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায় মৃতের প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়। তবে লাশের গায়ে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।’

(এলএস/এসপি/জুলাই ২০, ২০১৭)


পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test