E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মধুপুরে আদালতের ডিক্রিকৃত ভূমি জবরদখলের অভিযোগ

২০১৭ জুলাই ৩১ ১৫:২৯:০৪
মধুপুরে আদালতের ডিক্রিকৃত ভূমি জবরদখলের অভিযোগ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার জোরামগাছা মৌজায় স্থানীয় নুরুল ইসলামের আদালতের ডিক্রিকৃত ভূমি জবরদখলের অভিযোগ ওঠেছে। ভূমির দখল নিতে যাওয়ায় বার বার প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হচ্ছেন নুরুল ইসলাম। আদালতের ডিক্রির পরও ভূমির দখল না পেয়ে ভ্যান-রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

জানা যায়, মধুপুর উপজেলার মনতলা গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে নুরুল ইমসলাম ও প্রতিবেশী মৃত ওমেদ আলী মন্ডলের ছেলে হাক্কী মন্ডলদের সাথে জোরামগাছা মৌজার ৩২১ খতিয়ানের ১৫৮ দাগের ১.৬৮ একর ভূমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশে মিমাংসা না হওয়ায় নুরুল ইসলাম টাঙ্গাইলের সহকারী জজ(মধুপুর) আদালতে মামলা(নং-৮১/২০১২ইং বাটোয়ারা) দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম (সিনিয়র সহকারী জজ) বিগত ২০১৫ সালের ২৫ মে নুরুল ইসলামের পক্ষে ডিক্রি প্রদান করেন। পরে বাদী নুরুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত পরিমাণ ভূমির দখল বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আদালত সিভিল কোর্ট কমিশনকে নির্দেশনা দেন।

টাঙ্গাইল জজ কোর্টের সিভিল কোর্ট কমিশনার মো. আব্বাস আলী সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে যথাযথভাবে বিগত ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) ঢাক-ঢোল বাজিয়ে ভূমি নির্দিষ্ট করে বাদীর ডিক্রিপ্রাপ্ত ভূমি সবুজ এবং বিবাদীদের ভূমি লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করেন। উভয়পক্ষের ভূমি চিহ্নিত করে ঘটনাস্থল থেকে ফেরার পরই বিবাদী হাক্কী মন্ডল, আছর মন্ডল, রুস্তম মন্ডল, আশেক আলী গংরা আদালতের ডিক্রিকৃত ভূমি পুন:জবরদখল করেন। ওই ঘটনায় নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজি: আমলী(মধুপুর) আদালতে মামলা(নং-৫৯/২০১৭ইং) দায়ের করেন। মামলা দায়ের করায় গত ১৭ জুলাই আবারও নুরুল ইসলামকে পিটিয়ে আহত করে। তাকে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

নুরুল ইসলাম জানান, বাপ-দাদার সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে বার বার প্রতিপক্ষের হামলায় আহত হয়েছি।

তিনি জানান, হাকীম মন্ডল, আছর মন্ডল, রুস্তম মন্ডল, আশেক আলী গংরা এলাকায় দাঙ্গাবাজ ও ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। তারা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছিল। আদালতের মাধ্যমে ডিক্রি ও আদালত কর্তৃক ভূমি চিহ্নিত করে বুঝিয়ে দেওয়ার পর আবারও জবরদখল করেছে।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, জমিজমা হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছি।

তিনি আরো জানান, উল্লেখিত ভূমিদস্যুরা এলাকার বিভিন্ন জনের ভূমিও জবরদখল করে রেখেছে।
অভিযুক্তদের পক্ষে হাক্কী মন্ডল জানান, আদালতের পক্ষে সিভিল কমিশনার ভুল জমি চিহ্নিত করেছেন। নালিশী ভূমি চিহ্নিত করতে সিভিল কমিশন আমাদের জমিতে রং দিয়ে চিহ্নিত করেছেন। তাছাড়া আদালত সঠিক পর্যালোচনা ছাড়াই ডিক্রি দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী জানান, ওই ভূমি নিয়ে ইতোপূর্বে কয়েক দফায় গ্রাম্য সালিশ করেছি। ওই জমির জন্য নুরুল ইসলাম একাধিক বার হামলার শিকার হয়েছেন। হাক্কী মন্ডলরা সালিশী সিদ্ধান্ত বার বার অমান্য করেছে। তারা আদালতের নির্দেশনাও অগ্রাহ্য করে জমিটি পুনরায় জবরদখল করেছে।


(আরকেপি/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test