E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রী হত্যা মামলায় দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

২০১৭ আগস্ট ০৪ ১৮:০০:৫০
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রী হত্যা মামলায় দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীর হত্যা মামলায় আটক রতন কুমার দাস ও স্বপন সৌমিত্র নামে দু’ব্যক্তিকে তিন দিন করে পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুম ওই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরআগে মামলাটি মডেল থানা থেকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) হস্তান্তর  করা হয়।
 

জানা গেছে, হত্যাকান্ডের সাতদিন অতিবাহিত হলেও টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ হত্যার কোন ক্লু খুঁজে পায়নি। এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের বৈমাত্রেয় দুই ভাই রতন কুমার দাস ও স্বপন সৌমিত্রকে আটক করলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন তথ্য পায়নি। মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানো আদেশ দেন।

আদালত পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুম নিহত স্কুল শিক্ষকের বৈমাত্রেয় ভাই রতন কুমার দাস ও স্বপন সৌমিত্রকে তিন দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।

প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের নিজ বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা রাণী দাসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তাঁদের ছেলে নির্মল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। শুক্রবার (২৮ জুলাই) রাতে পুলিশ অনিল কুমার দাসের দুই বৈমাত্রেয় ভাই রতন কুমার দাস ও স্বপন সৌমিত্রকে তাঁদের রসুলপুরের বাড়ি থেকে আটক করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল মডেল থানার পরিদর্শক (অপরাধ) তানভীর আহমেদ বলেন, আটক দুই ভাইকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে তেমন কোনো গুরুত্বপুর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে যেসব তথ্য তারা দিয়েছেন তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম পিপিএম বলেন, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলা তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) খুব শীঘ্রই হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে পারবে এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে পারবে।

এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে দিয়ে ওই গ্রামের তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা জানা গেছে। তারা হচ্ছেন, রসুলপুরের নিবারণ চন্দ্র শীলের ছেলে ভজন চন্দ্র শীল, আবদুল মোমেনের ছেলে শহীদ মোমেন, কসিম উদ্দিনের ছেলে মফিজ উদ্দিন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ তাদের আটকের কথা স্বীকার করেননি।

গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজকুমার সরকার জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তিনজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি।

(আরকেপি/এএস/আগস্ট ০৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test