E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ডাকাত দলের সঙ্গে পাল্লায় হেরে গেল ডাকাত দল !

২০১৪ জুন ২৭ ১০:২৩:১৩
ডাকাত দলের সঙ্গে পাল্লায় হেরে গেল ডাকাত দল !

রৌমারী (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি : স্বশস্ত্র ডাকাত দলের নৌকার সঙ্গে পাল্লা পাল্লি খেলায় হেরে গেল ডাকাত দলের নৌকা। আর এতে ডাকাত দলের আক্রমণ ও ডাকাতির কবল থেকে রক্ষা পেল প্রায় শতাধিক যাত্রিবাহিসহ একটা নৌকা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ডাকাত দলের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পাল্লা পাল্লির ওই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রহ্মপুত্র নদের হাসধরা চর নামক স্থানে। নৌকার মাঝির সাহসিকতা ও দৃঢ়তায় ডাকাত দল তাদের ডাকাতি করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, রাজীবপুর নৌকা ঘাট থেকে গাইবান্ধা বালাসি ঘাটের উদ্দেশ্যে প্রায় একশ যাত্রিসহ ইঞ্জিত চালিত (ট্রলার) নৌকাটি ছেড়ে যায়। সকাল ৯টার সময় ছেড়ে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘন্টা পর ব্রহ্মপুত্র নদের হাঁসধরা চর নামক স্থানে পৌঁছলে স্বশস্ত্র ডাকাতদলের কবলে পড়ে। অন্য একটি নৌকা নিয়ে ডাকাত দল যাত্রিবাহি নৌকাকে ধাওয়া করে। যাত্রিবাহি নৌকার মাঝি ডাকাত দলের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকার গতি বাড়িয়ে দেয়। ডাকাত দল তাদের নৌকার গতি বাড়িয়ে দেয় ধরার জন্য। এ রকম প্রায় ঘন্টা ব্যাপি পাল্লা পাল্লিতে ডাকত দল হেরে যায়। যাত্রিবাহি নৌকা গিয়ে পৌঁছে বালাসি ঘাটে।

ওই যাত্রিবাহি নৌকার যাত্রি বাচ্চু মিয়া নামের এক ব্যক্তি মোবাইল ফোনে জানান, আমাদের নৌকা হাঁসধরা চর নামক স্থানে পৌছলে আড়াল থেকে স্বশস্ত্র ডাকাত দলের একটি নৌকা আমাদের নৌকাকে ধাওয়া করে। আমরা যখন বুঝতে পারি যে, ওই নৌকা ডাকাত দলের তখন মাঝি নৌকার গতি বাড়িয়ে দেয়। পিছন থেকে ডাকাত দলের নৌকা আসতে থাকে। এভাবে হাঁসধরা থেকে সাপেরচর হয়ে মোল্লার চর নৌকা ঘাটের কাছে পৌঁছলে আরেকটি যাত্রিবাহি নৌকা দেখার পর আমাদের নৌকার যাত্রিরা চিৎকার করলে যাত্রিবাহি ওই নৌকাটি এগিয়ে আসে এবং মোল্লার চরের মানুষরাও জড়ো হয়। এ অবস্থায় ডাকাতদলের নৌকা পিছু হটে।

ডাকাতির কবলে পড়া নৌকার যাত্রি চাকরিজীবি ওয়ালিউর রহমান বলেন, শুধুমাত্র নৌকার মাঝির সাহসিকতার কারণে আমরা রক্ষা পেয়েছি। মাত্র দশ গজের মধ্যে এসেও ডাকাতদল আমাদের নৌকা ধরতে পারেনি। ডাকাতরা আমাদের নৌকা আটকাতে পারলে আমাদের সবাইকে মারধোর করত। নৌকায় ১০টি মোটরসাইকেল ছিল তাও নিয়ে যেত।

রাজীবপুর নৌকা ঘাটের ব্যবসায়ি তৈয়ব আলী জানান, অল্পের জন্য নৌকাটি ডাকাতি হয়নি। এখন তো আরও ভয়ের কারণ হয়ে গেল। কারণ ডাকাতদল ডাকাতি করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। এরপর যে কোন নৌকা আটকাতে পারলে নৌকার মাঝিকে ভীষন মারধর করবে। এ নিয়ে নৌকার মাঝিদের মাঝে চরম আতংক দেখা দিয়েছে।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে হাঁসধরা ও সাপের চর নামক দুটি স্থান গাইবান্ধা সদর ও ফুলছরি থানার অধিনে। আর ওই স্থানে প্রায় প্রতিদিনই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। অথচ থানা পুলিশ কোনো উদ্যোগই নিচ্ছে না। যে স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে ওই স্থান গাইবান্ধা সদর থানার অধিনে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গোপাল চক্রবর্তি বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা আমার জানা নেই। আর যে চর দুটির কথা বলছেন তা আমার থানার অধিনে নয়।

(কেবি/জেএ/জুন ২৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test