E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র রাজন হত্যায় ১২ জনের ফাঁসি

২০১৭ আগস্ট ০৮ ১৯:৪৮:২৬
টাঙ্গাইলে কলেজ ছাত্র রাজন হত্যায় ১২ জনের ফাঁসি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কলেজ ছাত্রকে হত্যার দায়ে ১২ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের জেলা ও দায়রা জজ(বিশেষ) আদালতের বিচারক ওয়াহেদুজ্জামান শিকদার জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের ভালকুটিয়া গ্রামে আব্দুল মজিদের ছেলে সাইদুল(২০), মোমিন(২৭), নিজাম প্রামানিক(৫৫), আবু বকর সিদ্দিক টুনু(৬০), হানু(৩০), বাবু(৩০), সিরাজ প্রামানিক(৫৫), ওহাব (৫০), মো. মজিদ (৪৫), আব্দুল মজিদ (৩৫), মজনু (২০) নুরুল ইসলাম (৩০)। এদের মধ্যে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত মো. মজিদ (৪৫) আব্দুল মজিদ (৩৫), মজনু (২০) নুরুল ইসলাম (৩০) পলাতক রয়েছেন এবং অন্য আটজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে প্রকাশ, ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল সকালে ভূঞাপুর উপজেলার ভালকুটিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়িতে হামলা চালিয়ে লোহার রড ও শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে কলেজছাত্র রাজনকে নির্মম ভাবে হত্যা করে প্রতিপক্ষ।

মেধাবী রাজন ধনবাড়ী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ভালকুটিয়া গ্রামের মো. লাল মিয়া সরকারের ছেলে। এ ব্যাপারে রাজনের বাবা লাল মিয়া সরকার বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে ওইদিনই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রকাশ্য ও গোপণে তদন্ত করে ভূঞাপুর থানার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু ওবায়েদ ৭ জন অভিযুক্তকে বাদ দিয়ে ১২ জনের নামে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। প্রকাশ্য দিবালোকে জন সম্মুখে এমন খুনের ঘটনার ৭ জন স্বাক্ষী তাদের স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। গত ১২ জুলাই উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থান শেষে মঙ্গলবার(৮ আগস্ট) রায়ের দিন ধার্য করা হয়।

ভূঞাপুরের ভালকুটিয়া গ্রামের লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পলাতক আসামিদের মধ্যে মজনু ও নুরুল ইসলাম দেড় বছর আগে বিদেশে(শ্রমিক হিসেবে) চলে গেছেন এবং মো. মজিদ ও আব্দুল মজিদ দেশেই আত্মগোপণে রয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে নিজাম প্রামানিক স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও মোমিন স্থানীয় আওয়ামী যুবলীগের নেতা। সাইদুল, আবু বকর সিদ্দিক টুনু, হানু, বাবু, সিরাজ প্রামানিক, ওহাব, মো. মজিদ, আব্দুল মজিদ, মজনু ও নুরুল ইসলাম বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।

মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, স্পেশাল পিপি মুলতান হোসেন। তাকে সহযোগীতা করেন অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শামীমুল আক্তার।

বাদী পক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মুলতান উদ্দিন মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। নিহত কলেজ ছাত্র রাজনের মা শাহিদা বেগম ও বাবা লাল মিয়া সরকার মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি জানান।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীমুল আক্তার জানান, রায়ে তারা সন্তুষ্ট নন। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

(আরকেপি/এএস/আগস্ট ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test