E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

একনেকে অনুমোদনের ১০ মাসেও শুরু হয়নি সেতুর পুনঃ নির্মাণ

২০১৭ আগস্ট ০৯ ১৫:১২:০৮
একনেকে অনুমোদনের ১০ মাসেও শুরু হয়নি সেতুর পুনঃ নির্মাণ

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি : ছাতকে সুরমা নদীর উপর সেতু পুনঃ নির্মাণ কাজ একনেকে অনুমোদনের ১০ মাসেও শুরু হয়নি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১শ’ ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। তবে কবে কাজ শুরু হচ্ছে এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। দু’পারের এপ্রোচ এলাকায় ভূমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিপত্তির ফলে কাজ শুরুর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে।

২০০৪ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার প্যাকেজ সিস্টেমে সুনামগঞ্জ ও ছাতকে সুরমা নর উপর পৃথক দু’টি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর আগে সয়েল টেস্টসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষে প্রকল্প গ্রহনের পর ব্রিজের মূল ভিত্তিসহ প্রায় ৪০% কাজ সম্পন্ন করা হয়। পৌরসভার শ্যামপাড়া ও নোয়ারাই ইউপির বারকাপন এলাকায় সুরমা নদীর উপর নির্মিতব্য সেতু ছাতক-সিলেট সড়কের লালপুল সতের শিখার কিছু উত্তরে সংযোগ দেয়া হবে। তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালে জানুয়ারি মাসে ১৮কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় সেতুর নির্মান কাজ। প্রকল্প শেষ করার মেয়াদ ছিল ৩বছর। কাজ শুরুর এক বছরের মধ্যে ৮কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর দু’তীরে সেতুটির চারটি পিলার (স্তম্ভ)সহ ভিত্তি নির্মাণ করা হয়।

২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রকল্পটি সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) থেকে বাদ দেয়ায় অনেকটাই সেতুর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপর ২০১০সালে এ সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে ৫১কোটি টাকার একটি সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এ আবেদনের পর আবারো নতুন করে ১শ’ ১২কোটি ৯৯লাখ ৪৯ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৬সলর অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত এপ্রোচ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেতু নির্মানে ১শ’ ১৩কোটি টাকার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরও এপ্রোচের ভূমি অধিগ্রহনের জন্যে ঝুলে রয়েছে প্রকল্পটি।

জানা গেছে, সেতু নির্মানে ভূমি অধিগ্রহন বিষয়ে গত জুন মাস পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন পাঠানো হয়। সুরমা নদীর দু’তীরে প্রায় ২০একর ভূমি অধিগ্রহনের প্রস্তাব এখন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। অধিগ্রহন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই এপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে যে ইতোমধ্যেই সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেতু এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে তিনি একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে না গেছে। এরমধ্যে সেতুর প্রায় ৪০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজিব আহমদ জানান, মূল সেতুর দরপত্র মুল্যায়ন এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের ৪টি পিলারের সাথে নতুন ৩টি পিলার সংযোজন করেই সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে। এদিকে সুরমা সেতু নির্মিত হলে এখানের ব্যবসা বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে বলে জানা গেছে।

(সিএম/এসপি/আগস্ট ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test