E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে সরকার প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না 

২০২০ জুলাই ২৭ ১৫:৫৫:০৪
সীমান্ত হত্যার বিরুদ্ধে সরকার প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না 

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতীয় সীমান্তে প্রতিদিন বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করা হলেও সরকার প্রতিবাদ জানাতে সাহস পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৭ জুলাই) দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে (অনলাইন) তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, ‘একদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে, অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ক্রমাগত বাংলাদেশের মানুষ চরম দুর্ভোগে। একদিকে করোনা মোকাবিলায় সরকারের চরম ব্যর্থতা মানুষের জীবন ও জীবিকাকে বিপন্ন করে তুলেছে অন্যদিকে ভারতের উজান থেকে বন্যার পানি নেমে আসাতে মানুষের সম্পদ, বাড়ি-ঘর ভেঙে যাওয়া, গবাদিপশুর মৃত্যু, ফসলহানি, দেশের মানুষ সীমাহীন কষ্ট ও অর্থনৈতিক অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভারত অভিন্ন নদীগুলোর সকল বাঁধ ব্যারেজের গেট খুলে দেয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি, বাংলাদেশে ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দ, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ৩৪টি জেলা ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। কয়েকটি জেলায় এক মাসের মধ্যে ২/৩ বার বন্যার পানি উজান থেকে এসে বাড়ি-ঘর, ফসলের ক্ষেত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যে অভিন্ন নদী প্রায় ১৫৪টি একমাত্র পদ্মার ফারাক্কা বাঁধ ব্যতীত কোনোটারই কোনো পানি বণ্টন চুক্তি ভারতের অনীহার কারণে সম্পন্ন হয়নি। তিস্তা চুক্তির কথা এই সরকার ফলাও করে প্রচার করলেও গত এক দশকে কোনো চুক্তিই করতে সক্ষম হয়নি। অথচ একের পর এক ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহার, বিদ্যুৎ ক্রয়সহ অসংখ্য অসমচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অন্যদিকে সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। সে বিষয়েও সরকার কোনো কার্যকরী প্রতিবাদ জানাতে সাহস পায়নি। এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রায় প্রতি বছর বাংলাদেশের নদী অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষেরা এই বন্যায় আক্রান্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ভারত বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশন প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়েছে।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test