E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো ছ'মাস

২০২০ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৬:১৪:৫৬
বেগম জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো ছ'মাস

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের পর মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মুক্তির বর্ধিত মেয়াদে খালেদা জিয়া নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দাখিলকৃত আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগের আইনগত মতামতের আলোকে ‘দ্য কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর’ এর ধারা-৪০১(১) এ দেয়া ক্ষমতাবলে দুটি শর্তে (বাসায় থেকে চিকিৎসা ও বিদেশ না যাওয়া) তার (খালেদা জিয়ার) দণ্ডাদেশ ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো সংক্রান্ত ফাইলে মতামত দিয়ে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এ মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে কারাগারে থাকা অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হয় খালেদা জিয়াকে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা শেষে তাকে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়। এভাবে কয়েক দফায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এবং হাসপাতাল থেকে কারাগারে নেয়া হয়।

মামলা দুটিকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে বিএনপি নেতারা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এর মধ্যে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে বিএনপি নেতারা খালেদার মুক্তির জোর দাবি তোলেন। পরিবারের পক্ষ থেকেও বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানান।

সেই প্রেক্ষাপটে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গত ২৪ মার্চ গুলশানে সংবাদ সম্মেলনে জানান আইনমন্ত্রী। আইনমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে (করোনাভাইরাস) সরকার বয়স বিবেচনায় মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না- এমন শর্তে সাজা স্থগিত থাকবে। এরপর খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হয়।

প্রথম দফা মুক্তির মেয়াদ শেষ হলে গত ২৫ আগস্ট বেগম জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে স্থায়ী মুক্তি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়া বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়েও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে সেই দাবি বিবেচনায় নেয়া হয়নি।

(ওএস/পি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০ইং)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test