E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রশাসনই আজ আ. লীগের ভূমিকা পালন করছে : ফখরুল 

২০২১ মে ১৬ ১৭:০০:৩৮
প্রশাসনই আজ আ. লীগের ভূমিকা পালন করছে : ফখরুল 

আহমেদ ইসমাম, ঠাকুরগাঁও : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার আইন-আদালতকে নিজের সুবিধায় ইচ্ছেমত ব্যবহার করছে। আইন শৃংখলা বাহিনীকে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে। প্রশাসনকে তারা আজ এমন বানিয়ে ফেলেছে যে প্রশাসনই আজ আওয়ামীলীগের ভ’মিকা পালন করছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আইন বলতে কিছু নেই, বিচার বলতে কিছু নেই। সবকিছু মিলিয়ে সরকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। 

রবিবার বিকেলে মির্জা আলমগীরের নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের আশ্রমপাড়াস্থ হাওলাদার গেস্ট হাউজে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়বাতী আইনজীবী ফোরামের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশে বর্তমানে চরম এক দু:সময় চলছে। বর্তমানে করোনা মহামারীর কারনে সারা বিশ্বে খুব খারাপ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ধরনের মহামারী ভয়ংকর ভাবে আঘাত করতে পারে তার নমুনা আমরা দেখছি। যারা দিন আনে দিন খায় এবং ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি তাদের অবস্থা খুব খারাপ। অসংখ্য মানুষ এখন কর্মচ্যুত হয়েছে। দেশের প্রধান খাতগুলো থেকে আয়ের পরিমান কমেছে। সার্বিকভাবে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অন্যদিকে ১৯৭১ সালে দেশের মানুষের মুল আশা ছিল যে, একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক সার্বোভৌম রাষ্ট্র নির্মাণ করা। যেখানে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, দেশে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু থাকবে, দায়িত্ববোধ থাকবে সে বিষয়টা আ’লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে অত্যন্ত সুচারুভাবে ধ্বংস করেছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আজও তারা সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠা করতে উঠে পরে লেগেছে। আইন আদালতকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিলের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার চেষ্টা করছে। আ’লীগ একদিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধিনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। সুতরাং এ দেশের মানুষের অধিকার হরণ করার জন্য, যে হাতিয়ার তৈরী করা দরকার সেটা ততত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের মাধ্যমে তারা করেছে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, নিজেদের ক্ষমতা পাকাপুক্ত করতে যে আইনগুলো প্রনয়ন করেছে সরকার, এতে করে মানুষের স্বাধীনতা বর্তমানে শুন্যের কোটায় চলে এসেছে। সাংবাদিক বা সাধারণ মানুষজন তাদের মত প্রকাশ করতে পারছে না। তারা কিছু লিখলেই বা বললেই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে ৭ বছরের বাচ্চা থেকে শুরু করে গৃহবধু পর্যন্ত কেউ ছাড় পাচ্ছে না। এ আইনের আওতায় এনে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জামিন পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। সর্বোপরি নির্বাচনকে একদলীয় হিসেবে করার জন্য যা যা করা দরকার সমস্ত কিছু করেছে সরকার।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এ্যাড. আব্দুল হালিম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী আহবায়ক এ্যাড. বদিউজ্জামান বাদল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এনতাজুল হক, জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি আল মামুন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, আনসারুল হক, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

(আই/এসপি/মে ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test