E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিএনপিকে মোজাম্মেল হক

ওরা রাজ করবে আর আমরা দেখবো তা হতে পারে না

২০২২ ডিসেম্বর ০১ ১৬:২৬:১২
ওরা রাজ করবে আর আমরা দেখবো তা হতে পারে না

স্টাফ রিপোর্টার : মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা বিরোধিতা করেছিল তাদের প্ররোচনায় বিএনপি আবার দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশেকে স্বাধীন করেছি, আমরা বেঁচে থাকতে ওরা রাজ করবে, আমরা বসে বসে দেখবো বা আঙুল চুষবো তা তো হতে পারে না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা জেলা ইউনিট কমান্ড ও মহানগর ইউনিট কমান্ড এ সমাবেশের আয়োজন করে।

তিনি বলেন, যারা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সপ্তম নৌবহর পাঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে বানচাল করতে চেয়েছিল, স্বাধীন হওয়ার পর যারা বারবার ভেটো দিয়েছিল বাংলাদেশ যাতে জাতিসংঘের স্বীকৃতি না পায়, সদস্যপদ লাভ করতে না পারে, সেই সমস্ত অপশক্তির প্ররোচনায় আজকে তারা আবার নানা কথা বলছে। তারা বলছে ১০ ডিসেম্বরের পর এই দেশ খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার কথায় চলবে, শেখ হাসিনার কথায় রাষ্ট্র চলবে না।

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশেকে স্বাধীন করেছি, আমরা বেঁচে থাকতে ওরা রাজ করবে আমরা বসে বসে দেখবো বা আঙুল চুষবো তা তো হতে পারে না। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আরও বলেন, একাত্তর সালে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরোধিতা করেছিল, তারা আজকের এই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার ও বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার শেখ হাসিনা দেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে তা নস্যাৎ করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া শেখা হাসিনাকে হত্যার জন্য হাওয়া ভবনে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পাকিস্তান থেকে গ্রেনেড এনে খুনিদের সরবরাহ করেছিলেন। খালেদা জিয়া পার্লামেন্টে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা নাটক করার জন্য গ্রেনেড নিজের ভ্যানিটি ব্যাগে নিয়ে চার্জ করেছিলেন।

প্রকৃত খুনিদের আড়াল করার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এই কৌশল অবলম্বন করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার পরিবার শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের সু্যোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা সবসময় চিন্তা করে জানিয়ে তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সম্মানজনক হারে বাড়ানো হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্টকার্ড ও ডিজিটাল সনদ দেওয়া হয়েছে। অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।

এদিন বেলা ১১টায় সোহরওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করে সমাবেশ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

অনুষ্ঠান অন্যদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহজাহান খান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজির আহমেদ, ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আগাখান মিন্টু, মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান মেজার জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলী, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহাবুবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মোজাম্মেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ঢাকা জেলা ও মহানগর এবং সারাদেশ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test