E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খালেদার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে যা আছে

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২৫ ১৮:২৮:১৬
খালেদার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার আবেদনে যা আছে

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন তাঁর ভাই শামীম ইস্কান্দার। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বরাবর ওই আবেদন করা হয়। আবেদনের কপি আজ সোমবার সাংবাদিকদের দিয়েছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। 

আবেদনে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে সরকারের নির্বাহী আদেশে সপ্তমবারের মতো দুই শর্তে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁর মুক্তির মেয়াদ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ২০২১ সালের ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৫৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ওই বছরের ১৯ জুন হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন। কিন্তু পুনরায় তাঁর স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি হওয়ায় ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর আবারও ‘এভারকেয়ার’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৮০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আরও সাতবার তাঁকে জরুরি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হয়।

আবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে ব্যক্তিগত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাসায় অবস্থান করলেও অধিকতর উন্নত চিকিৎসার অভাবে এবং কোভিড পরবর্তী বিরূপ প্রভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিন্দুমাত্র উন্নতি হয়নি। উপরন্তু দিনের পর দিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয়, ইতিমধ্যে তিনি ‘লিভার সিরোসিস’ এবং ‘হৃদ্‌রোগে’ আক্রান্ত হয়েছেন। যার আধুনিক চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তিনি পূর্বের মতোই উঠে দাঁড়াতে পারেন না, এমনকি কারও সাহায্য ছাড়া ওয়াশ-রুম কিংবা শয়নকক্ষের বাইরেও যেতে পারেন না।

আবেদনে এও বলা হয়, বেগম জিয়ার জীবন রক্ষার্থে ও তাঁর শারীরিক সক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে উন্নতমানের ফিজিওথেরাপিসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে দেশের বাইরে চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যাবশ্যক। এমতাবস্থায়, সব শর্ত শিথিল পূর্বক তাঁকে স্থায়ীভাবে মুক্তি এবং বিদেশে গমনের অনুমতি প্রদানের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০২ ডিসেম্বর ২০২৩

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test