E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খাদ্যমন্ত্রীর বীরঅধম হওয়ারও যোগ্যতা নেই

২০১৪ নভেম্বর ০৭ ১৯:২৫:৪৬
খাদ্যমন্ত্রীর বীরঅধম হওয়ারও যোগ্যতা নেই

স্টাফ রিপোর্টার : খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের বীরঅধম হওয়ারও যোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

জিয়াউর রহমানের বীরখেতাব কেড়ে নেওয়া উচিত, কামরুল ইসলামের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয় যে দিলাম আর কেড়ে নিলাম। আর যিনি এই কথা বলেছেন, তার বীরঅধম হওয়ারও যোগ্যতা নেই।

শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

‘শহীদ জিয়া ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা ঘোষণা করতে পারেনি। আর জিয়াউর রহমান পেরেছেন। এই কারণে জিয়াউর রহমান অপরাধী। তাই জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের এতো কথা।

জিয়াউর রহমানকে ৩ নভেম্বর বাঁচিয়ে রাখাটাই সবচেয়ে বড় ভুল ছিল, খালেদ মোশাররফের মেয়ের এই লেখা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের যে জনপ্রিয়তা ছিল তাতে তার গায়ে হাত দেওয়ার মতো ক্ষমতা কারো ছিল না। তাকে মেরে ফেললে বাংলাদেশে ওকে কে বাঁচাতো কে মারতো তা কে জানে। সেদিন জিয়াউর রহমান বেঁচে ছিলেন বলে আজ সেনাবাহিনী টিকে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

৭ নভেম্বর সৈনিক হত্যা করে সিপাহী দিবস পালন করে বিএনপি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের এই বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর কোনও সিপাহীকে হত্যা করা হয়নি। বরং ৭ নভেম্বরের পর সিপাহী হত্যার বিচার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। আর ৭ নভেম্বর সেই গণতন্ত্রকে জিয়াউর রহমান রক্ষা করেছেন।

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই খেতাব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। কাদের সিদ্দিকী একজন বীরউত্তম কিন্তু তিনি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন বলে তাকে রাজাকার হিসাবে অখ্যায়িত করা হয়েছে। সাবেক এয়ার ভাইস মার্শাল একে খন্দকার বই লেখেছেন এই জন্য এখন তারও খেতাব কেড়ে নেওয়ার কথা বলছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

রাজনৈতিক কারণে আওয়ামী লীগ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিরোধীতা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এ কে এম আজিজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান কর্ণেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীক, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।

(ওএস/এটিআর/নভেম্বর ০৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test