লোহাগড়ায় যুবলীগ সভাপতির কার্যালয় ও বাড়ি ভাংচুর, আহত ২

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলমের দলীয় কার্যালয় ও বাড়ি ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপজেলা শহরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার করাকে কেন্দ্র করে লোহাগড়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলম সমর্থিত নেতা-কর্মীদের সাথে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম সমর্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শরিফুল ইসলাম সমর্থিত এক কর্মী গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলমকে নিয়ে আপত্তিকর ছবি পোষ্ট করে। ফেসবুকের এ ছবি পোষ্ট করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে আশরাফুল আলম সমর্থিত কর্মী জনি শেখের নেতৃত্বে একদল কর্মী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলে এলাহী (২৭) ও কর্মী রুবেল (২৫)কে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতদেরকে প্রথমে লোহাগড়া হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার জের ধরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ উপজেলা শাখার সম্পাদক এম এম রাশেদ হাসানের নেতৃত্বে ৩০/৩৫ জনের একদল কর্মী ছ্যান দা, লাঠি, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক নিয়ে প্রথমে যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলমের লক্ষ্মীপাশা খেয়াঘাটস্থ দলীয় কার্যালয় ভাংচুর করে। এরপর তার লক্ষ্মীপাশাস্থ বাড়িতে হামলা চালিয়ে টিভি, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের উপস্থিতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে যুবলীগ সভাপতি আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আগামী পৌর নির্বাচন থেকে সরে আসার জন্য পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ লুৎফর রহমান পুলিশি উপস্থিতি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় লক্ষ্মীপাশা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(আরএম/এএস/মে ১৩, ২০১৫)