নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর হত্যাকাণ্ড একই মহল ঘটিয়েছে: সুরঞ্জিত

স্টাফ রিপোর্টার : একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশে নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনীর হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

শুক্রবার দুপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ‘প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরীর স্মরণ সভা’ তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘এরা এদেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক ধারা ব্যাহত করতে চায়। এদের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। অবিলম্বে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘এ ঘটনার পেছনে যারা আছে, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। এদের প্রশ্রয় আশ্রয় দেয়ার সুযোগ নেই। এই তিনটি ঘটনাই একই সূত্রে গাঁথা। এ সম্পর্কে সরকারকে তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টি দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সাতখুনের মূল আসামি নূর হোসেন সহ সমস্ত দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সু-সংবাদ হলো, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট র‌্যাব কর্মকর্তাকে খুনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা নারায়ণগঞ্জের জনগণের স্বত:ফূর্ত প্রতিবাদের বিজয়। নারায়ণগঞ্জ আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্প নগরী। আমরা চাই, নারায়ণগঞ্জ শান্ত হোক, মানুষ নিবিঘ্নে চলুক, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘সত্য কথা বললে অনেকে আমাকে ভুল বোঝে। আমি এখনও বলতে চাই। ফেনীতে এই পৈচাশিক হত্যাকাণ্ড ঘটল। ফেনীতে প্রশাসন, র‌্যাব, সিআইডি ইত্যাদি ছিল না? প্রশাসনিক তৎপরতায় এ পৈশাচিক খুন বন্ধ করা গেলে আমরা তাদের প্রশংসা করতাম। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতিকে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসন কি করেছে?

এসময় বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে সুরঞ্জিত বলেন, বিরোধী জোটের নেতা বলেছেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলে হয়েছে।’ এটার জন্য আপনি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করতে পারতেন। জাতি হিসেবে আমাদের বুঝতে হবে আমরা বিরোধী দল না সরকারি এটা কোনো বিষয় নয়।

তিনি বলেন, আমরা যেন বিবেকহীন বা অনভূতিহীন না হয়ে যাই।

সুরঞ্জিত বলেন, এ ধরনের কোনো খুনের দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগ বা সরকার কেউ নেবে না। অপরাধীদের আইনের কাছে সোপর্দ করা সকল নাগরিকের কর্তব্য। আজকের এই পবিত্র দিনে আমরা এটাই আশা করি। বর্বরচিত এ ঘটনাকে বর্বরচিত বলেই অবজ্ঞা করতে হবে। মানবতার গুরুত্ব দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

ওই স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের নেতা হারুণ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান, রেজাউল করিম প্রমুখ।

(ওএস/এটিঅার/মে ২৩, ২০১৪)