E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেরপুরে চার পৌরসভায় ৪৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ 

২০১৫ ডিসেম্বর ২৫ ১২:১৭:২৮
শেরপুরে চার পৌরসভায় ৪৭ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ 

শেরপুর প্রতিনিধি : আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে শেরপুর জেলার চারটি পৌরসভার ৬৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। তবে পুলিশের ভাষায় এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে তারা ‘গুরুত্বপুর্ণ কেন্দ্র’ বলে উল্লেখ করেছেন। শেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র, সাধারন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমন তথ্য জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ রজনীগন্ধ্যায় এ মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শেরপুর পৌরসভার ৩৪ টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীবরদী পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের সবগুলোকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নালিতাবাড়ী পৌরসভার ৯ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪টিকে এবং নকলা পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮ টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল ওয়ারিশ সাংবাদিকদের বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র বলতে কিছু নেই। কাজের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। ভোটকেন্দ্রের অবস্থান ও গুরুত্ব বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ভোটকেন্দ্রগুলোকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘সাধারন’ এ দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে। সাধারন কেন্দ্রগুলোতে ৬ জন পুলিশ ও ৬ জন আনসার সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১২ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ৮ জন অস্ত্রধারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট আর্মড পুলিশ সহ ২০০ রিজার্ভ পুলিশ চাওয়া হয়েছে।


র‌্যাবের জামালাপুর-শেরপুর কমান্ডার মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রতি পৌরসভায় র‌্যাবের ২ টি টহল দল সার্বক্ষনিক কাজ করবে। এরা কুইক ‘রেসপন্স টিম’ হিসেবে যেকোন ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে।


জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এসব কেন্দ্রে ঝুঁকির কারণ হিসেবে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও একচেটিয়া ভোট লাভের চেষ্টায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থীরা কতিপয় কেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। ভোট গ্রহণ পরবর্তীতে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এলাকায় গোলযোগ করতে পারে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে এলাকায় গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতা কর্মীরা তাদের প্রার্থীদের নির্বাচনে জয়লাভ করানোর উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে নাশকতা কিংবা গোলযোগ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাতে পারে। নির্বাচনকে বিতর্কিত কিংবা রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত গোলযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
জেলা প্রশাসক ডা. এ এম পারভেজ রহিম বলেছেন, পৌর নির্বাচনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি টহলে থাকবে। এছাড়া জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন। ভোটের দিন ৪ পৌরসভায় জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২৪ টি মোবাইল টিম পৌর নির্বাচনের মাঠে থাকবে।

(এইচবি/এইচআর/ডিসেম্বর ২৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test