E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘নালিশ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস’

২০১৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৩:৪৬:৩৩
‘নালিশ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস’

স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নালিশ করা বিএনপির পুরনো অভ্যাস। তিনি বলেন, পৌর নির্বাচনের দিন বিকেল পর্যন্ত তাদের নালিশ শুনতে হবে।

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সরকার এবং দলের পক্ষ থেকে সব রকমের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে ৭ নম্বর ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির ৬ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করার অভিযোগে নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা কম হয়ে যায় না- প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, নালিশ করাটা বিএনপির পুরানো অভ্যাস। তারা কথায় কথায় শুধু নালিশই করে। এর আগেও যখন চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, রাজশাহী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর থেকেই তাদের নালিশ ছিল নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে না, সরকারি দল কেন্দ্র দখল করবে, বিএনপির হাজার হাজার কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত কিন্তু তারাই নির্বাচনে জয়লাভ করেছে।

‘নির্বাচনের দিন বিকেল পর্যন্ত বিএনপির নালিশ শুনতে হবে। এখন এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। বিরোধীদল সব সময় এসব অভিযোগ আনেন। এসব পুরোনো, গদবাধা কথা, বার বার বলেন, সেটা বলবেন।’

আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ, পরিবেশ ভাল রাখা, সেই চেষ্টা আমরা করে যাচ্ছি, বলেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদেরও কিছু কর্মী গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, কেন এদের গ্রেফতার করা হলো। কম আর বেশি। নির্বাচন কমিশন আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে, তাদের হুকুম অনুযায়ী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের কার্য প্রণালী চালিয়ে যাচ্ছে, আমাদের কিছু করার নেই, যে সহযোগিতা তারা চাইবে তা করে যাবো।

আমাদের নেতার্কীদের সরকারি দল হিসেবে ধৈর্যধারনের জন্য আমি অনুরোধ করবো, সারা বাংলাদেশে, যাতে করে কোনো প্রকাল বিশৃঙ্খলা না হয়। সরকারি দল হিসেবে আমাদের এখানে ধৈর্যটা বেশি ধরতে হবে, বেশি সহিষ্ণুতা দেখাতে হবে। দলীয় ভিত্তিতে ইলেকশনটা হচ্ছে, কাজেই ইলেকশনটা ভাল হোক সরকার চায়।

পৌর নির্বাচনে এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ট্রাজেডি ঘটেনি দাবি করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবস্থা এমন যে তারা দু’দিক থেকেই অভিযোগের সম্মুখীন হন। বিরোধী দল তো করেই, বিএনপি একটা বড় দল তারাও করছে, এদিকে আওয়ামী লীগেরও বিভিন্ন জায়গায় কিছ কিছু অভিযোগ আসছে। সব অভিযোগের মধ্যেও সরকারের পক্ষে এটুকু বলতে চাই অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ভূমিকা পালনে সরকারের পক্ষে যতটুকু সহযোগিতা, সমর্থন করা দরকার, দিয়ে আসছি, শেষ পর্যন্ত দিয়ে যাবো।

‘পার্টির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে এই নির্দেশনা দিয়েছেন, আমাদের পার্টি যেহেতু সরকারি দল, আমাদের পক্ষ থেকে যেন কোনো উস্কানীমূলক আচরণ না হয়, নির্বাচন কমিশন যাতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারে। নির্বাচনের জন্য অবাধ পরিবেশ বজায় রাখতে সহযোগিতা করতে নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছি।’

দীর্ঘ দিন পর ধানের শীষ এবং নৌকার মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে, সরকার বিএনপির আস্থা ফিরিয়ে দিতে পারবে কিনা- প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এর আগে একসঙ্গে ৭/৮টি সিটি নির্ব‍াচনে আমরা হেরেছিলাম, তখন কিন্তু সরকারের উপর আকাশ ভেঙে পড়েনি।

‘এখনও স্থানীয় সরকারের আংশিক নির্বোচনে হেরে গেলে সরকারের উপর আকাশ ভেঙে পড়বে, এমন কোন বিষয় নয়, সরকারের পতন হবে না। কাজেই আমরা কেন দেশে-বিদেশে আমাদের ইমেজ খুন্ন করবো? স্থানীয়ভাবে অনেক সময় অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণে থাকে না, আমরা চেষ্টা করছি যতোটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।’

‘নির্বাচন নিয়ে সরকার কোনো রকম বিব্রতকর অবস্থায় না পড়ে, সে ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি আছে,’ বলেন ওবায়দুল কাদের।

(ওএস/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test