E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নন্দীগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার

২০১৫ ডিসেম্বর ২৯ ১৮:০৪:২৯
নন্দীগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : ৩০ ডিসেম্বর বুধবার পৌরসভা নির্বাচন। পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও নির্বাচন অফিস সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটের সংঞ্জামাদি পৌছে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোট কেন্দ্রে রয়েছেন। পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা টহলরত।

প্রিজাইডিং অফিসারসহ পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভোটের সরঞ্জামাদি নিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলো পৌছেঁ গেছেন। থানার সেকেন্ড অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, নন্দীগ্রাম পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৯টি।

এরমধ্যে নামুইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকইর ফোরকানিয়া মাদ্রাসা, দামগাড়া সিদ্দিকিয়া সিনি: ফাজিল মাদ্রাসা ও নন্দীগ্রাম মনসুর হোসেন ডিগ্রি কলেজসহ ৪টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করেছে প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি।

এছাড়া এবারে নির্বাচনে ১৩হাজার ৮শ ৪১জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬হাজার ৬শ ৫৮জন ও মহিলা ৭হাজার ১শ ৮৩জন ভোটার। পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ লক্ষনীয়। এনির্বাচনে মেয়র পদে ৫জন, সাধারন কাউন্সিলর পদে ৩৪জন ও ১১জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করছেন। মেয়র পদে আওয়ামীলীগের রফিকুল ইসলাম পিংকু (নৌকা), বিএনপির সুশান্ত কুমার শান্ত (ধানের শীষ), জাসদের মাহাবুবর রহমান রুস্তম (মশাল) ও স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী ফজলুল হক কাশেম (মোবাইল ফোন), কামরুল হাসান সিদ্দীকি জুয়েল (জগ)। কে হচ্ছেন’ পৌর পিতা। তা নিয়ে সর্বত্রই চলছে জল্পনা কল্পনা। এলাকার উন্নয়নকল্পে গ্রহনযোগ্য, সৎ ও নির্ভিক ব্যক্তিকেই বেছে নিতে চান পৌরসভার ভোটাররা।

১ম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও উন্নয়নের মান বাড়েনি। ভোটাররা বলছেন, পৌরবাসী উন্নয়ন চায়। এজন্য দেখে এবং বুঝে শুনে সৎ ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তিকেই পৌর পিতা করবেন ভোটাররা। আওয়ামীলীগের মেয়রপ্রার্থী রফিকুল ইসলাম পিংকু বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন এগিয়ে নিতে জনগণ নৌকায় সিল মারবে।

বিএনপির শেষ রক্ষা হবেনা। পৌরবাসী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হবেন। এদিকে, কতিপয় প্রার্থীরা তাদের নিকটতম উপজেলার ইউনিয়নের ভোটরদের স্থান পরিবর্তন করে পৌর ভোটার করেছেন। যাদের পৌরসভা এলাকায় কোনো বাসস্থান নেই। অথচ উপজেলার ভোটারদের সুযোগ বুঝে নিজের মত করে পৌরসভায় স্থানান্তর করে সুবিধা নিতে যাচ্ছেন কতিপয় প্রার্থীরা। খোজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ স্থানান্তরকৃত ভোটাররা উপজেলার ইউনিয়নে বসবাস করেন। এদের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা বা জায়গা সম্পত্তি পৌর এলাকায় নেই। তবুও কিভাবে এরা ভোট স্থানান্তর করলেন বিষয়টি অন্ধকারেই থেকে গেছে।

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছিয়া খাতুন জানান, নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সুযোগে ভোটাররা নিজেরাই ভোট স্থানান্তরের আবেদন করেছিল। যারা পৌরসভার ভোটার হয়েছেন তারা পরবর্তিতে উপজেলার ইউনিয়নে ভোট স্থানান্তর করতে পারবেনা। তবে কেউ যদি মনে করে, এখন পৌরসভার ভোটার হয়ে সুবিধা নেবে, এরপর আবার উপজেলার ইউনিয়নের ভোটার হবে, সেই সুযোগ ইসি দেবেনা। একজন ভোটার পৌরসভা ও ইউনিয়নে ভোটার হবেন এমন বিষয়টি প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

থানার ওসি হাসান শামীম ইকবাল বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে ২০জন করে পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করাসহ দুটি কেন্দ্রর জন্য একটি করে টহল পার্টি রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও রিটানিং কর্মকর্তা আনোয়ার ইমাম বলেন, জেলার মধ্যে নন্দীগ্রাম পৌরসভায় শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশে ভোটগহন অনুষ্ঠিত হবে। অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠ নির্বাচন হবে বলে তিনি আশাবাদী। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা বা ঘটতে পারে এমন তথ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এমএনআই/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test